স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে চন্দ্রশেখর কুণ্ডু, দুয়ারে অক্সিজেন প্রকল্প নিয়ে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এলেন !

Published By: Khabar India Online | Published On:

টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ   দুয়ারে অক্সিজেন প্রকল্প নিয়ে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বৃহস্পতিবার আসানসোল উত্তর বিধানসভা অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম পলাশডিহায় পৌঁছে দেখা যায় করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সাহায্যের জন্যে শহরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অক্সিজেন সিলিণ্ডার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে চন্দ্রশেখর কুণ্ডু বলেন, উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রামগুলির মানুষেরা স্বাস্থ্যপরিষেবার জন্যে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ওপর নির্ভর করেন।

আরও পড়ুন -  রক্ত সংকট, এগিয়ে এল লক্ষ্মীঘাট এনজিও ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

তবে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে জেলা হাসপাতালে রোগীদের শয্যা অপ্রতুল হয়ে উঠেছে। তাই গ্রামের মানুষেরা যাতে এই চরম সঙ্কটে ঘরে থেকেই স্বাস্থ্যপরিষেবা পায়, সেইদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে পাশাপাশি দুটি করে গ্রাম নিয়ে ক্লাস্টার তৈরি করা হচ্ছে।

যেখানে একটি করে জাম্বো অক্সিজেন সিলিণ্ডার ও প্রত্যেকের ঘরে মেডিক্যাল কিট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আটটি গ্রামকে নির্বাচন করা হয়েছে। আগামীদিনে আরো অন্যান্য গ্রামেও এই ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগীতায় এগিয়ে আসা চিকিৎসক শম্পা চ্যাটার্জি (এরিয়া মেডিক্যাল অফিসার সালানপুর) জানিয়েছেন, মূলত প্রাথমিক পর্যায় সংক্রামিত হয়ে হোম আইসোলেশনে যারা থাকেন, সেই সব মানুষগুলি যাতে অসুবিধায় না পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Bank Closed in September-2023: ১৬ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক সেপ্টেম্বর মাসে, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

আগে জেলা হাসপাতালে রেপিড টেস্টের ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে আরটিপিসিআর টেস্টের ফলে রিপোর্ট আসতে তিন চারদিন সময় লাগছে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে সংক্রামিত রোগীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়দের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি অক্সিজেন সিলিণ্ডারের ব্যবহার সম্পর্কেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  Twenty Trees: বিনা অনুমতিতে উপড়ে ফেলা হলো কুড়িটি গাছ