কোভিড কারফিউ/লকডাউনের সময় মজুতদারদের সঙ্গে কোন আপোষ নয়

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ   কোভিড কারফিউ/লকডাউনের সময় মজুতদারদের সঙ্গে কোন আপোষ নয়
কেন্দ্রীয় গ্রাহক বিষয়ক দপ্তর সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে, মহামারীর দরুণ জারি হওয়া কারফিউ/ লকডাউনের সময় অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মজুতদারদের সঙ্গে কোনরকম আপোষমূলক মনোভাব না দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির খাদ্য ও গ্রাহক বিষয়ক দপ্তরের মুখ্য-সচিবদের সঙ্গে আজ এক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় গ্রাহক বিষয়ক দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শ্রীমতী নিধি খারে। এই বৈঠকে দেশে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর যোগান ও মূল্য খতিয়ে দেখা হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিভিন্ন মাণ্ডি বা কৃষি বাজারে অত্যাবশ্য সামগ্রীর মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা হয়।

আরও পড়ুন -  Taiwan: চীনের সামরিক মহড়ার ঘোষণা আবার, তাইওয়ান প্রণালীতে

বৈঠকে খাদ্য সামগ্রী, ওষুধপত্র ও হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সামগ্রী সহ অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার মাশুল নিয়েও আলোচনা হয়। এই সমস্ত সামগ্রী যাতে ন্যায্য মূল্যে বাজারে পাওয়া যায় তা খতিয়ে দেখার জন্যও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ফারাক দূর করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জেলা স্তরে প্রয়োজনে নজরদারি দল গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই নজরদারি দলে খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ, আইনি পরিমাপন বিভাগ, খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধিদের রাখার কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর অপ্রয়োজনীয় সংগ্রহে মানুষের ভীতি দূর করতে সচেতনতা প্রচারের কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে জোর দিয়ে বলা হয়, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রশাসনগুলি অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে। ১৯৮০ সালে কালোবাজারি প্রতিরোধ এবং অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর সরবরাহ সুনিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আইনের ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের সংস্থান রয়েছে।

আরও পড়ুন -  Firearms: আগ্নেয়াস্ত্র সহ চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ

উল্লেখ করা যেতে পারে, কেন্দ্রীয় গ্রাহক বিষয়ক দপ্তর ১৯৫৫-র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রী আইন এবং ১৯৮০-র কালোবাজারি প্রতিরোধ এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রী সরবরাহ সুনিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আইন কার্যকর করে থাকে। এই দুটি আইন গ্রাহকদের কাছে ন্যায্য মূল্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রীর যোগান সুনিশ্চিত করতে এবং অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের শোষণ কৌশল থেকে গ্রাহকদের সুরক্ষায় কার্যকর করা হয়। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  দেশে করোনা সংক্রমণ কমল