খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ প্রচণ্ড তাপমাত্রা অনেকের ত্বকে সানট্যান দেখা দেয়। পাশাপাশি ত্বকে ফুসকুড়ি, ঘামাচির মতো সমস্যা বাড়তেই থাকে। ফলে চুলকানি, ব্যথা এবং ঘা পর্যন্ত হতে পারে। গরমের কারণে ঘাড়ে, বুকে, কুচকিতে ও বগলে ফুসকুড়ি বা ঘামাচি হয়ে থাকে। আক্রান্ত স্থান লালচে হয়ে ফুলে ওঠে এবং চামড়া উঠতে থাকে। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরের লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে এসব ফুসকুড়ি হয়। সংবেদনশীল ত্বক যাদের, তাদের ক্ষেত্রে র্যাশের সমস্যা আরও বেশি হয়ে থাকে। এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে অনেকেই তাৎক্ষণিক কী করবেন বুঝতে পারেন না। তবে যা-ই হোক, গরমে ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করা যায় ঘরোয়া কিছু উপায়ে।
দুই থেকে তিনবার শরীরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সুগন্ধযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। হালকা বডিওয়াশ ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বকে পিএইচ ব্যালান্স বজায় থাকবে।
ফিটিং পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। শরীরে যেন বাতাস প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। মনে রাখবেন, ত্বকের যেসব স্থানে বেশি ঘাম হয়; সেসব স্থানগুলো যাতে পরিষ্কার ও খোলামেলা থাকে।
ত্বকের আক্রান্ত স্থানে বরফের সেঁক নিতে পারেন। এতে জ্বালা-পোড়াভাব ও চুলকানি কমবে।
ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধে জাদুকরী ভূমিকা রাখে চন্দন। গবেষণায় দেখা গেছে, চন্দন কাঠের গুঁড়োয় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যানালজেসিক আছে। যা ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করে। পাশাপাশি আক্রান্ত স্থানের জ্বালা-পোড়াভাব কমায়।
অ্যালোভেরার নির্যাস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-সেপটিক উপাদান আছে। যা ত্বক ঠান্ডা করে সংক্রমণ কমায়। ত্বকের অস্বস্তি দূর করতে আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করতে পারেন।
নিমপাতা খুব ভালো অ্যান্টিসেপটিক। নিমের তেল, নিমপাতা বাটা দু’টোই খুব ভালো কাজে দেয় চুলকানির সমস্যায়।
বিশেষ করে ত্বককে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া থেকে বাঁচায় পাউডার। অবশ্যই সুগন্ধহীন পাউডার ব্যবহার করতে হবে। বগল, কুচকি, ঘাড়, বুকে অর্থাৎ শরীরের ঢেকে রাখা স্থানগুলোতে পাউডার ব্যবহার করতে হবে।শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকুন। শরীর ঠান্ডা রাখুন। যদি সম্ভব হয়। প্রচুর জল পান করুন।