‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ নীতি যাতে বাধাহীন হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ
কোভিড-19 অতিমারীকালে অসামান্য পরিষেবা প্রদান এবং অনুকরনীয় কাজের জন্য দিল্লী মেডিকেল অ্যাসশিয়েশান (ডিএমএ) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধনকে সম্মানিত করেছে

কোভিড অতিমারীকালে নিজেদের স্বার্থ উপেক্ষা করে দেশকে সেবা করার জন্য ড: হর্ষ বর্ধন স্বাস্থ্যকর্মীদের এবং প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন

‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ নীতি যাতে বাধাহীন হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভারত কোভিড-19 অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই শেষ করার পথে বলে ড:হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন

এর জন্য তিনটি জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।

কোভিড-19 অতিমারীকালে অসামান্য পরিষেবা প্রদান এবং অনুকরনীয় কাজের জন্য দিল্লী মেডিকেল অ্যাসশিয়েশান (ডিএমএ) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞানমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধনকে সম্মানিত করেছে।

নতুন দিল্লীর হোটেল দি ললিতে আজ ধরমশীলা নারায়াণা হসপিটালের সহযোগিতায় আয়োজিত ডিএমএ এর ৬২ তম বার্ষিক দিল্লী স্টেট মেডিকেল সম্মেলন-মেডিকোন ২০২১ এ ড:হর্ষ বর্ধন কে ,গোটা বিশ্বজোড়া স্বাস্থ্য সমস্যায় আশার আলো বলে অভিহিত করা হয়। ড: হর্ষ বর্ধন ভারত থেকে পোলিও নির্মূলের কাণ্ডারি নন,একই সঙ্গে তিনি অতীতে ডেঙ্গু,ইবোলা বা প্লেগের মতন রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন।

আরও পড়ুন -  Nepal Floods: বন্যা ও ভূমিধসে নিখোঁজ ২৫, নেপালে

অনুষ্ঠানে ড:হর্ষ বর্ধন বলেন,”মেডিকন ২০২১ এ উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহন করা আমার কাছে সম্মানের এবং গর্বের বিষয়”।

তিনি বলেন,”কোভিড-19 অতিমারী আমাদের একত্রিত করার সুযোগ করে দিয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা আমাদের ভালোবাসার দেশকে রক্ষা করতে শুধুমাত্র তাদের পরিবারের থেকে দূরে থাকেননি,তাঁদের শারীরিক এবং মানসিক অনুভূতিও দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন।আমি এই সকল ব্যক্তিদের সহকর্মী,বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ দেব,যাঁরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য এই সকল কর্মীদের শক্তি ও মনোবল জুগিয়েছেন”।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,”আমার দেখা সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য সঙ্কটের ১৪ মাস অতিক্রান্ত এবং মাত্র ২ মাস হলো দেশজুড়ে টিকাকরণের কাজ চলছে। আজ অবধি ২ কোটির বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে এবং টিকা প্রদানের হার প্রতিদিন গড়ে ১৫ লক্ষ ধরা হয়েছে। অন্য দেশের মতন নয়,আমরা করোনা টিকার সরবরাহ সঠিক ভাবে করে চলেছি। এই টিকা নিরাপদ এবং কার্যকরী।প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে ভারতে তৈরী টিকায় বিশ্বের অন্যান্য টিকার থেকে অনেক কম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে”।

আরও পড়ুন -  করোনা আক্রান্ত যোগী আদিত্যনাথ। অন্যদিকে অখিলেশ যাদব

ড:হর্ষ বর্ধন বলেন,”পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে পোলিও নির্মূল না হওয়ায় গোটা বিশ্বের শিশুদের পোলিও টিকা নিতে হচ্ছে।যদিও গোটা বিশ্ব থেকে পোলিয়োমাইলিটিস নির্মূল হয়েছে। ঠিক তেমন ভাবে গোটা বিশ্ব থেকে কোভিড সংক্রমণ নির্মূল না হলে ভারত একক ভাবে নিরাপদ হতে পারেনা। যে কারনে কোভিড-19 কে নিয়ন্ত্রণ করতে ভ্যাকসিন ন্যাশানালিজম প্রয়োজন। দরিদ্র এবং অনুন্নত দেশগুলি থেকে যদি নভেল করোনা ভাইরাস ছড়াতে থাকে তাহলে আমরা নিরাপদ থাকতে পারিনা। সুতরাং এই সময়ে ভ্যাকসিনের সমবন্টন অত্যন্ত প্রয়োজন”।

তিনি বলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত,৬২ টি দেশকে প্রায় ৫ কোটি ৫১ লক্ষ কোভিড টিকা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে এই স্বাস্থ্য সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজীর নেতৃত্বে ভারত,আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে।আমরা গর্ববোধ করতে পারি যে নরেন্দ্র মোদীর মতন আমরা এক বিশ্ব নেতাকে পেয়েছি ,যিনি বিশ্বাস করেন”বসুদৈবকুটুম্বকম” মন্ত্রে।

আরও পড়ুন -  জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা, কোভিড-১৯

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান,প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন প্রদান যাতে বাধাহীন হয়,সে বিষয়ে জোর দিয়েছেন।

ভারত থেকে কোভিড-19 নির্মূল করার সম্ভাবনা বিষয়ে তিনি বলেন, এই সংক্রমণের মোকাবিলায় আমরা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছি।এই লড়াই সফলভাবে শেষ করতে ,তিনটি পদক্ষেপ জরুরি। সেগুলি হলো,টিকাকরণ অভিযান থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখতে হবে,বিজ্ঞানের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং সঠিক সময়ে প্রত্যেকে যেন টিকা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন,সরকার এক্ষেত্রে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকেও কাজে লাগিয়েছে। প্রত্যেক যোগ্য ব্যক্তি যাতে টিকা পান সে বিষয়ে জন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আজকের অনুষ্ঠানে ডিএমএ এর সভাপতি ডাক্তার বি বি ওয়াদওয়া এবং রাজ্য সচিব ডাক্তার অজয় গম্ভীর বক্তব্য রাখেন। সূত্র – পিআইবি।