জন্মাষ্টমীর পুজো এই ফল দিতে হয় কেন? নেপথ্যে রয়েছে কোন বিশ্বাস!
জন্মাষ্টমী হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র ও আনন্দের উৎসব। এই দিনটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি হিসেবে পালিত হয়, যিনি শ্রী বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসেবে ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। জন্মাষ্টমী সাধারণত ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালন করা হয়। এ বছর ২৬ শে অগাস্ট, ৯ ই ভাদ্র জন্মাষ্টমী তিথি পড়েছে। যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ রাতের বেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই জন্মাষ্টমীর পুজো রাতেই করা হয়।
পুজোর জন্য বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শসা। শসা ছাড়া জন্মাষ্টমীর পুজো অসম্পূর্ণ মনে করা হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত একটি রীতি। বিশ্বাস করা হয়, শ্রীকৃষ্ণ শসা নিবেদন করলে খুশি হন এবং ভক্তদের দুঃখ দূর করেন।
জন্মাষ্টমীর দিন একটি বিশেষ শসা আনা হয়, যার সঙ্গে সামান্য ডাঁটা এবং পাতা যুক্ত থাকে। এই শসা কেটে তার কাণ্ড থেকে আলাদা করা হয়, যা নাড়ি কাটার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এটি শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পর মা দেবকীর থেকে বিচ্ছিন্নতার প্রতীক হিসেবেও মানা হয়। রাত ১২টায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে কয়েন দিয়ে শসা ও ডাঁটা আলাদা করে দেওয়া হয়, যা নল ছেদন নামে পরিচিত।
অনেকে নববিবাহিতা বা গর্ভবতী মহিলাকে এই শসা খাওয়ান, কারণ বিশ্বাস করা হয় এতে শ্রীকৃষ্ণের মতোই সন্তান জন্ম নেয়।