খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-শিল্প সংস্থা এবং সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রসার ঘটিয়ে গ্লোবাল ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যালায়েন্স (জিআইটিএ) উদ্ভাবন তথা শিল্প গবেষণা ও উন্নয়নে পরিপূরকের ভূমিকা পালন করছে। ডঃ হর্ষবর্ধন জিআইটিএ-র নবম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে এক ভিডিও বার্তায় একথা বলেন।
জিআইটিএ-র মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর বিশ্বের অগ্রণী কয়েকটি দেশের সঙ্গে সহযোগিতায় শিল্প গবেষণা ও উন্নয়নমূলক একাধিক দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচির রূপায়ণে যুক্ত থেকে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। ডঃ হর্ষ বর্ধন আরও বলেন, ভারত উদ্ভাবনের দিক থেকে বিশ্বের অগ্রণী বিভিন্ন দেশ যেমন- ইজরায়েল, কোরিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও ব্রিটেনের সঙ্গে শিল্প ক্ষেত্রে গবেষণা এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলিতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা গড়ে তুলেছে।
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের প্রযুক্তি উন্নয়ন পর্ষদ এবং ভারতীয় শিল্প মহাসংঘের (সিআইআই) মধ্যে সরকারি বেসরকারী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গ্লোবাল ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যালায়েন্সের নবম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করা হয়। জিআইটিএ এবারের প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল ভাবনা ছিল আত্মনির্ভর ভারত।
এই উপলক্ষ্যে একদিনের এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ সিআইআই-এর হাইভ প্ল্যাটফর্মে পারস্পরিক মত-বিনিময় করে।
ভারতকে আত্ননির্ভর করে তুলতে বর্তমান চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময়কে সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছেন, তার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য দেশে বিজ্ঞান চেতনার আরও প্রচার ও প্রসারে অগ্রভাগে থেকে পরিপূরকের ভূমিকা পালন করছে বলেও ডঃ হর্ষ বর্ধন অভিমত প্রকাশ করেন।
এই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা বলেন, বিগত বছরগুলিতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তার ফলস্রূতি স্বরূপ সরকারি বেসরকারী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিল্প ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার এক নতুন দিশা পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, আত্মনির্ভর ভারত কেবল নিজেকে অন্যদের থেকে পৃথক করে নেওয়া হয় বরং বিশ্ব গবেষণা ও উন্নয়নের কর্মপরিচালনা শৃঙ্খলে ভারতের অন্তর্ভুক্তি ঘটানো। বিশ্বে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারতের সক্ষমতার নিদর্শন তুলে ধরতে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও অধ্যাপক শর্মা জানান। আত্মনির্ভর ভারত প্রসঙ্গে অধ্যাপক শর্মা বলেন, এর তিনটি সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে। এগুলি হল- আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান এবং আত্মচিন্তা। এজন্যই আত্মনির্ভর ভারত গঠনে যারাই অংশগ্রহণ করবেন তারা সকলেই এই তিনটি উপাদানের কথা স্মরণে রাখবেন।
কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন পর্ষদের সচিব ডঃ নিরজ শর্মা বলেন, আগামী দিনগুলিতে পর্ষদ এবং জিআইটিএ-র মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে। জিআইটিএ-র নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ বছর যে তিনটি কর্মসূচি সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে তারজন্য আন্তর্জাতিক অংশীদার দেশগুলিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের অতিরিক্ত ডেভেলপমেন্ট কমিশনার শ্রী পীযুষ শ্রীবাস্তব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের প্রধান ডঃ এস কে ভার্সেনি জিআইটিএ পর্ষদের সদস্য শ্রী দীপ কাপুরিয়া প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সূত্র – পিআইবি।