চারটি রাজ্যে উচ্চপর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে; অন্যান্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ চিহ্নিত করা যায়নি এমন এবং বাদ পড়ে যাওয়ার রোগীদের খুঁজে বের করে নমুনা পরীক্ষার হার আরও বাড়াতে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ কেন্দ্রের

অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষা আক্রান্তের হার কমাতে সাহায্য করে

সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার মোট আক্রান্তের ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকার হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট ও মণিপুরে চারটি উচ্চপর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে। এই কেন্দ্রীয় দলগুলি সংশ্লিষ্ট চারটি রাজ্যের সেই সমস্ত জেলায় যাবে যেখানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও অধিক। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় দলগুলি কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারগুলির প্রচেষ্টাকে আরও সুদৃঢ় করতে যাবতীয় সাহায্য দেবে। কেন্দ্রীয় সরকার আরও কয়েকটি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি দল পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছে। যে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের হার তুলনামূলক বেশি, সেখানে এই দলগুলি পাঠানো হবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার চিহ্নিত করা যায়নি এমন কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অথবা বাদ পড়ে যাওয়া রোগীদের দ্রুত খুঁজে বের করে নমুনা পরীক্ষা করার আগ্রাসী নীতি গ্রহণে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে যে সময়মতো আক্রান্তদের খুঁজে বের করা সম্ভব হলে সংক্রমণ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আরও পড়ুন -  Fashionable: ফ্যাশনেবল টিপস মেয়েদের

ভারতে আজ পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে আক্রান্তের হার কমানো সম্ভব হয় এবং বাদ পড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণে সুবিধা হয়। দেশে জাতীয় স্তরে আজ করোনায় আক্রান্তের হার ৬.৯৫ শতাংশ। তাই, অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে আক্রান্তের হার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

দেশে ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ১৪০টি করে নমুনা পরীক্ষার যে হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) স্থির করে দিয়েছে, তার তুলনায় অনেক বেশি। ২০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আক্রান্তের হার জাতীয় গড় হার ৬.৯৫ শতাংশের তুলনায় কম।

আরও পড়ুন -  Shiv Pujo: মহাদেবের পুজো করুন ১ টাকার কয়েন ও সুপারি দিয়ে, সংসার ভরে উঠবে

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৫,৮৮২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৯৪ যা মোট আক্রান্তের কেবল ৪.৯৩ শতাংশ।

১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট আক্রান্তের ৭৮.২ শতাংশই রয়েছেন। তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র, যেখানে মোট আক্রান্তের ১৮.১৯ শতাংশই রয়েছেন। দেশে আজ ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের কম।

ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৪,৮০৭ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। এর ফলে, সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৪০৯। একইভাবে, আজ সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৩.৬০ শতাংশ। সুস্থতার সংখ্যা এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬১৫-তে। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরোগ্য লাভের হার ৭৮.০২ শতাংশ। কেরল থেকে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৬,৮৬০ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। দিল্লি থেকে একদিনেই সুস্থতার সংখ্যা ৬,৬৮৫। মহারাষ্ট্র থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ৫,৮৬০।

আরও পড়ুন -  সিএসআইআর-সিএমইআরআই-এর প্রথম কৃষি সম্মেলন

সদ্য করোনায় আক্রান্তদের ৭৭.২০ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৭,৫৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কেরল থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৭২২ এবং মহারাষ্ট্র থেকে গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৫৩৫।

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৫৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮১.৮৫ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। সর্বাধিক ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। দিল্লি থেকেই মারা গেছেন ৯৩ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। সূত্র – পিআইবি।