কালীপুজোর রাতে ১০৮ টা নরমুন্ডকে নিয়ে জাগানো হয় শ্মশান

Published By: Khabar India Online | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, মন্দিরবাজারঃ  কালীপুজোর রাতে ১০৮ টা নরমুন্ডকে নিয়ে জাগানো হয় শ্মশান।

আদিগঙ্গার পাড়ে কয়েকশো বছরের প্রাচীন মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর শ্মশান। এই শ্মশানেই আগে ভিড় জমাতেন তান্ত্রিক ও সাধকরা। শব সাধনায় বসতেন অনেকেই। এখনও শ্মশানে ঢুকলে গা ছমছমে পরিবেশ। স্থানীয়দের বিশ্বাস, তান্ত্রিকদের সাধনার জোরে আজও রাতের অন্ধকারে জেগে ওঠে শ্মশান। ঘোরাফেরা করে অপঘাতে মৃতদের আত্মা। ১১০ বছর আগে এই শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলেই টালির ছাউনির নীচে কালী পুজো শুরু করেছিলেন তান্ত্রিক মণিলাল চক্রবর্তী। ১০৮ টি নরমুণ্ড দিয়ে চলত তন্ত্র মতে দেবীর উপাসনা। সেই থেকেই শ্মশানে পূজিত হয়ে আসছেন মা করুণাময়ী কালী।

আরও পড়ুন -  হারিয়ে যাচ্ছে...!

শ্যামাকালী পুজোর দিন আজও এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান এই মন্দিরে। স্থানয়ীদের মুখে মুখে প্রচলিত আছে, তন্ত্রের দীক্ষা নিয়ে শ্মশানে সাধনা শুরু করেছিলেন ব্রাহ্মণ যুবক মণিলাল। কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলের মধ্যে পুজো শুরু করেন তিনি। দেবী নিত্য পূজার ইচ্ছা প্রকাশ করলে পাকাপাকি ভাবে তৈরি করা হয় মন্দির। দেবী মূর্তির পিছনে বসানো হয় ১০৮ টি নরমুণ্ড। সামনে পঞ্চমুণ্ডির আসন। এখানে তন্ত্র মতে দেবীকে পুজো দেওয়া হলেও কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ বলি। কালীপুজোর দিন মদ, কাঁচা মাংস ও ছোলা দিয়ে পুজো করা হয় ডাকিনী-যোগিনীকে। দেওয়া হয় শিয়াল ভোগও। গভীর রাতে মন্দিরের সেবাইত শ্মশান জাগানোর খেলায় মেতে ওঠেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

আরও পড়ুন -  ফেসবুকে কেনাকাটায় সতর্কতা অবলম্বন করুন

মণিলালের মৃত্যুর পর থেকে তাঁর পুত্র সত্তরোর্ধ্ব শ্যামল চক্রবর্তী মন্দিরের দায়িত্ব সামলে আসছেন। তিনিই এখন প্রধান সেবাইত। শ্যামলবাবু জানান, ‘‘বাবার মৃত্যুর পর কাকা ফণীভূষণ চক্রবর্তীর কাছ থেকে তন্ত্রের শিক্ষা নিতে থাকি। তাঁরই হাত ধরে গুপ্তবিদ্যা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়। পরে করুণাময়ী মন্দিরে মায়ের নিত্য পূজা শুরু করি।’’

আরও পড়ুন -  Winter in Kolkata: হঠাৎ শীতের স্পেল, কলকাতায় তাপমাত্রা থাকবে ১৫ ডিগ্রির কম, এই আমেজ কতদিন?