ভয়াবহ হয়ে উঠছে বন্যা পরিস্থিতি আসামে উজানের ঢল এবং বৃষ্টিপাতের জল বৃদ্ধি পাওয়ায়। সরকারি বুলেটিনে বলা হয়েছে, বন্যায় অন্তত ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। বন্যায় রাস্তা, সেতু, বিদ্যুতের খুঁটি এবং স্কুলসহ অন্যান্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর এনডিটিভি।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, উজানে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বেশিরভাগ নদ-নদীর জলের স্তর বাড়ছে ও বেড়েছে বিভিন্ন অংশে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জলেরস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে গৌহাটিতে ব্রহ্মপুত্র নদের ফেরি পরিষেবা স্থগিত আছে। জোড়হাটের নেমাতিঘাটেও ফেরি পরিষেবা স্থগিত করে দিয়েছে।
আসামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ) জানিয়েছে, বন্যায় সবশেষ সিভাসগর জেলার ডিমাওয়ে একজন মারা গেছে। এ নিয়ে চলতি বছর বন্যায় রাজ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ১৭ জেলা এখন বন্যার জলের নিচে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৬৭৫ জন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ৪৭ হাজার ৩৩৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলায়। ধিমাজিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৪০ হাজার ৯৯৭ জন। চার শতাধিক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে, ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র বর্তমানে চালু রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় রয়েছে।
এএসডিএমএ জানিয়েছে, বর্তমানে ৮ হাজার ৮৬ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার জলের নিচে। প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ৫১৪টি প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ হাজার ৩৪০টি বড় প্রাণী ও ১১ হাজার ৮৮৬টি হাঁস-মুরগি আছে।
ছবিঃ সংগৃহীত।