ল্যাপটপ (Laptop) এখন অন্যতম বড় প্রয়োজনীয় উপকরণ। একে ভালো রাখতে আপনাকে সঠিক যত্ন নিতে হবে। না হলে দেখা দিতে পারে নানান ধরনের সমস্যা। দীর্ঘদিন ল্যাপটপ ব্যবহার করার জন্য নিয়মিত যত্ন নেওয়া দরকার।
আগেই সতর্ক থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই ল্যাপটের নানান সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। এবার জেনে নেয়া যাক ল্যাপটপের যত্নের কিছু নিয়ম।
ল্যাপটপ থেকে যে কোনো তরল জিনিস দূরে রাখবেন। ল্যাপটপের কাছে চা, কফি, জল অথবা অন্য কোনো তরল জিনিস পান করতে গিয়ে হঠাৎ দুর্ঘটনা হতে পারে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ভাইরাসের বিরুদ্ধে সেরা প্রতিরক্ষক। নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে ল্যাপটপ স্ক্যান করবেন। তাহলে ভাইরাস থেকে মুক্তি হবে। ল্যাপটপ এর সামনে কোন খাবার রাখবেন না।
ল্যাপটপের ওপরে খাবার রাখলে সার্কিট ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভবনা হতে পারে।
পোষ্য প্রাণী যেখানে থাকবে, সেখানে ল্যাপটপ ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন। কারন তাদের লোম এবং চুল ল্যাপটপের ভেতরে ঢুকে ক্ষতি হতে পারে। ল্যাপটপ সব সময়ই এমন জায়গায় ব্যবহার করবেন, যেখানে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রয়েছে। ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকবে।
ব্যাটারিতে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়া ল্যাপটপ চালানোর সময় পর্দার আলো কমিয়ে রাখুন। সরাসরি সূর্যের আলোতে ল্যাপটপ ব্যবহার একদম করবেন না। তাতে আপনার ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যেকোনো ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
প্রসেসরের ওপর চাপ কমাতে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ রাখুন। ব্যাটারির কানেক্টরের সংযোগস্থল মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করবেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে প্লাগ খুলে রাখবেন।
খুব দরকারি উইন্ডো ট্যাবগুলো ছাড়া অন্য ট্যাবগুলো মিনিমাইজ বা বন্ধ রাখুন।
হার্ডডিস্ক থেকে মুভি এবং গান চালানোর চেষ্টা করবেন। এয়ার ভেনটিলেটরের পথ খোলা রাখবেন। এমন ভাবে রাখবেন সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে সেখানে ল্যাপটপ রেখে কাজ করবেন। যদি সম্ভব হয় কুলার ব্যবহার করবেন। তাতে বাতাস বের হয় সাথে ল্যাপটপ ঠান্ডা থাকবে।
শাটডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ব্যবহার করলে ভালো। প্রয়োজন ছাড়া ব্লু-টুথ এবং ওয়াই-ফাই সুবিধা বন্ধ রাখুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যাটারি দিয়ে ল্যাপটপ চালানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে ব্যাটারি সচল থাকবে। অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল না করা ভালো।
ছবিঃ সংগৃহীত