দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এক চরম সমস্যা হয়েছে সাধারণ মানুষের সামনে। মশলাপাতি থেকে সবজি। মাছ-মাংস, চাল এবং ডাল, সবকিছুর দাম বেড়েছিল। বর্ষার শুরুতেই কার্যত এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চেহারাটা ধরা পড়েছিল গোটা রাজ্যে।
পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে। সাথে মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে দিনের পর দিন। সবকিছু মিলিয়ে এখন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়েছে মধ্যবিত্তদের কাছে।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে এই বিষয়টি থেকে খানিকটা স্বস্তি পেল বঙ্গবাসী। একইসঙ্গে দাম কমে গেল সবজি থেকে শুরু করে মাছ এবং মাংসের। এই অবস্থায় খানিকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চলেছে মধ্যবিত্তরা।
সবজির বাজারের গেলে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচালঙ্কা আগে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছিলো, এবার শোনা যাচ্ছে দাম কমে ১৫০ টাকা প্রতি কেজিতে। ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা প্রতি কেজিতে। পটলের দামও রয়েছে পঞ্চাশের নীচে। কিন্তু টমেটো অগ্নিমূল্য। দাম প্রতি কেজিতে রয়েছে ১৫০-১৭০ টাকা।
এবার মাংসের দোকানে গেলে সেখানেও হয়েছে স্বস্তিজনক খবর। মুরগির দাম কমেছে। কলকাতার বাজারে কাটা মুরগির মাংস ১৮০-২০০ টাকা কেজিপ্রতি দামে। মাটনের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। কলকাতার বাজারে খাঁসি বা পাঁঠার মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি প্রতি।
আসা যাক মাছের বাজারে, এখানে দেখা যাচ্ছে দাম কমের দিকে। ছোট সাইজের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজিতে ৫০০ টাকার নিচে। একটু বড় ইলিশের সাইজ হলেই সেখানে দাম হয়ে যাচ্ছে প্রতি কেজিতে ৯০০-১১০০ টাকা। কলকাতার বাজারে কাটা রুই মাছের দাম রয়েছে ২৫০ টাকা প্রতি কেজিতে। তেলাপিয়া মাছের দাম রয়েছে প্রতি কেজিতে ১২০ টাকা। এই হলো হাট – বাজার এর দরদাম।