ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আতঙ্ক থেকে রেহাই পেয়েছে বাংলা। আবার নতুন করে গ্রীষ্মের চরম অস্বস্তি শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। আবার রাজ্যের একাধিক জেলায় বাড়ছে পারদের উত্তাপ। ‘মোকা’র পরোক্ষ প্রভাবে অনেকটাই শুস্ক এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে। সেই আবহাওয়া এখনও রয়েছে। সকাল হলেই আবার শুরু হচ্ছে রোদের তেজ।
এর মাঝেই কালবৈশাখীর স্বস্তি মিলেছে দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায়। গত ২ দিন ধরে বিকেল হলেই আকাশে ঘনিয়ে আসছে মেঘ। সাথে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত। আবার কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
কোথাও দেখা গেছে ঝড়ের দাপট। সেই সব মিলিয়ে গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলো দক্ষিণবঙ্গ। এই স্বস্তি কতদিন?
১) সোমবার কালবৈশাখীর দাপট হয়েছিলো শহর কলকাতায়। কলকাতায় হালকা বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে আবার। কলকাতায় কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯০ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ।
২) আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকতে শুরু করেছে রাজ্যে। এর জেরেই ঝড়-বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমান জেলাতে। বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়া, সাথে বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
৩) বুধবার উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে রয়েছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদাতে হতে পারে বৃষ্টিপাত। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে ২১ তারিখ পর্যন্ত একই পরিস্থিতি থাকবে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কয়েছে।
প্রতীকী ছবি