যশোর রোড সম্প্রসারণের সব থেকে বড় প্রতিবন্ধকতা সরতে চলেছে। যশোর রোডের বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত অংশে ৩০৫টি শতাব্দীপ্রাচীন গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৮ সালে গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত।
বুধবার (১৫ ফেব্রয়ারি) সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আদালত জানিয়েছে, ৩০৬টি গাছ কাটার আগে ১৫০০টি গাছ লাগাতে হবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে।
গাছ কাটার জন্য দশকের পর দশক আটকে রয়েছে যশোর রোড সম্প্রসারণের কাজ। বিশ্বের সব ঘনবসতিপূর্ণ জেলার একটি উত্তর চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ কলকাতা তথা বাকি দেশের সঙ্গে সংযোগ রক্ষায় এই সড়কের ওপর নির্ভর করে। চলে হাজার হাজার কোটির বাণিজ্য।
বারাসত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য ৪ হাজার ৩৬টি গাছ কাটার পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য পূর্ত দফতর। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর পটেকশন অফ ডেমোক্রেটিভ রাইটস (এপিডিআর)। তখন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। পরে প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ উড়ালপুল বানানোর জন্য ৩৫৬টি গাছ কাটার নির্দেশ দেন। তবে শর্ত হিসাবে আদালত জানায়, একটি গাছ কাটার আগে ৫টি গাছ লাগাতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় এপিডিআর। হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সম্প্রতি,১১৮টি প্রকল্পের আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় খরচ বেড়ে যাচ্ছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। একটি হলো যশোর রোড সম্প্রসারণ। কেন্দ্রের আবেদনের ভিত্তি থেকে এই প্রকল্পগুলির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, গাছ কাটার বদলে তার কাছাকাছি একই প্রজাতির গাছ লাগানো হচ্ছে কি না, নজর রাখবে আদালত।
সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। ছবিঃ সংগৃহীত