অ্যাপলের পণ্যের বিক্রি এবং মুনাফা অস্বাভাবিক হারে কমেছে ২০২২ সালের শেষ দিকে। বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে সার্বিকভাবে জীবনযাপনের খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন।
২০২২ এর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে আইফোনের বিক্রি এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কমেছে। আগে সর্বশেষ আইফোনের বিক্রি এতো বড় আকারে কমেছিল ২০১৯ সালে।
তথ্য এমন সময় এলো, যখন অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থনীতির মন্দা নিয়ে সতর্কবাণী দিচ্ছেন। এটি প্রযুক্তি খাতের জন্য বেশি প্রাসঙ্গিক, মহামারির সময় এই খাত অনেক উন্নতি করেছিল।
অ্যাপলের শীর্ষ কর্মকর্তা টিম কুক জানান, প্রতিষ্ঠানটি একটি ‘ঝামেলাপূর্ণ পরিস্থিতির’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বিক্রি কমার জন্য তিনি চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট সরবরাহ সঙ্কট, শক্তিশালী ডলার, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং পৃথিবীর অসংখ্য দেশে মহামারির অব্যাহত প্রভাবকে দায়ী করেছেন।
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক কনফারেন্স কলে তিনি বলেন, সারা বিশ্ব নজিরবিহীন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি অ্যাপলও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
অ্যাপলের মুনাফা সার্বিকভাবে ১৩ শতাংশ কমে ৩০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
পিপি ফোরসাইট নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষক পাওলো পেসকাতোরে বলেন, অন্য অনেক ইলেকট্রনিক্স নির্মাতার মতো অ্যাপলও সম্ভাব্য গ্রাহকদের এটা বোঝাতে পারছেন না। পুরনো ডিভাইসের বদলে নতুন ডিভাইস কেনা উচিৎ। সবাই ভাবছেন নতুন মডেলগুলোতে পুরনোগুলোর তুলনায় নতুন বা উল্লেখযোগ্য কোনো নতুন ফিচার নেই।
অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এ মনোভাব আরও বলিষ্ঠ হচ্ছে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা ক্যানালিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সারা বিশ্বে স্মার্টফোন বিক্রির সংখ্যা ১২ শতাংশ কমেছে। আমাজন এবং গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও জানিয়েছে তারা চাপে আছে।
ছবিঃ সংগৃহীত