মস্কো-নিয়ন্ত্রিত ডোনেটস্ক অঞ্চলের মাকিভকা শহরের একটি সামরিক কোয়ার্টারে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী নববর্ষের আগের রাতে। হামলায় ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
রাশিয়ার কর্মকর্তারাও বলেছেন, এতে শতাধিক রুশ সেনা মারা গেছে বলে ধারনা করছেন।
ইউক্রেনের ডোনেটস্ক অঞ্চলের মস্কো-স্থাপিত প্রশাসন রবিবার বলেছে, নববর্ষের আগের রাতে এই অঞ্চলে কমপক্ষে ২৫টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস স্থানীয় মস্কো-স্থাপিত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমার্স) রকেটের ধারাবাহিক হামলায় মাকিভকা প্রধান কয়লা উৎপাদন কেন্দ্র। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
১১ মাস ধরে চলা যুদ্ধে বছরের শেষ দিন থেকে শুরু করে টানা তৃতীয় দিনের মত রাজধানী কিয়েভেসহ ইউক্রেনজুড়ে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। সোমবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, রবিবার রাত থেকে অন্তত ৪০টি রাশিয়ান ড্রোনকে গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর, রাশিয়া ১ এবং ২ জানুয়ারী শতাধিক ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, নববর্ষের রাতে থেকে মোট প্রায় ৯৫টি রুশ ড্রোনকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। দাবি, আক্রমণ চালানো সমস্ত ড্রোনই ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ যুদ্ধ ড্রোন।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, রবিবার রাতে ৪০টি ড্রোন কিভের দিকে হামলা চালায়। যার মধ্যে ২২টি ড্রোন কিয়েভ, তিনটি কিয়েভ অঞ্চলে ও ১৫টি প্রতিবেশী প্রদেশে ধ্বংস করা হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র জানিয়েছেন, হামলার ফলে বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে রাজধানীতে জরুরি বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে।
উল্লেখ্য, ১১ মাসে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এখনও যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া এরপর থেকে উভয় দেশের অন্তত ৪০ হাজার সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে তাদের সরকার।
সূত্রঃ আলজাজিরা, রয়টার্স। ছবিঃ সংগৃহীত