Pregnant Mother: খাদ্যাভ্যাস, গর্ভকালীন সময় মায়েদের

Published By: Khabar India Online | Published On:

মায়েদের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন হয় গর্ভকালীন সময়। হরমোনাল পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার ও আচরণেও পরিবর্তন দেখা যায়। তখন গর্ভবতী মায়ের অনেক রকমের খাবার খেতে চায়। এই খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে আমরা ‘প্রেগনেন্সির ফুড ক্রেভিলস’ বলে থাকি।

যেমন- টক, মিষ্টি, ঝাল বা নোনতা খাবার। কারও কারও অদ্ভুত কিছু জিনিস (খাদ্যবস্তু নয়) খাওয়ার ইচ্ছা করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জন গর্ভবতী নারীর একজন পিকায় আক্রান্ত হন। গর্ভধারণের প্রথম পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই এর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পরবর্তী তিন মাসে ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে, শেষের দিকে কমে।

আরও পড়ুন -  যে খাবারগুলি শীতে হাড় ( bones ) মজবুত করে

গর্ভাবস্থায় পিকা হওয়া মানে পুষ্টির ঘাটতি বা অপুষ্টি রয়েছে। সাধারণত যেসব নারীর শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের (আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম) ঘাটতি থাকে, তাদের মধ্যে অখাদ্য (মাটি) খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আবার অনেক সময় মানসিক সমস্যা থেকেও পিকা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন -  Web Series: স্পেশাল সার্ভিস দিতে রাজি যুবতী টাকার জন্য, ঘরে যখন একলা থাকবেন তবেই দেখবেন ওয়েব সিরিজটি

গর্ভাবস্থায় সঠিক সময়ে যদি পিকা নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত অভোজ্য কিছু খাওয়া মা ও শিশু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর।

হজম করা কঠিন, এমন অভোজ্য জিনিস খেলে তা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণসহ বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, পেটে আলসার এবং অন্ত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন -  ২০২১-এর হজ যাত্রার জন্য মুক্তার আব্বাস নাকভির নীতি নির্দেশিকা ঘোষণা

গর্ভাবস্থায় পিকার লক্ষণ শুরু হলে আচার বা চাটনি খেতে পারেন। চিনিমুক্ত চুইংগাম, এলাচের দানা চিবাতে পারেন।

ফলের রসের আইস কিউব করে রাখতে পারেন। সেটা খাওয়া যাবে।

প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যতালিকা করতে হবে। মিনারেল ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে। মনে রাখুন

পিকা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে যথাযথ সুষম পুষ্টির মাধ্যমে পিকার প্রতিকার সম্ভব।

প্রতীকী ছবি