গুজরাটের প্রথম পর্বে ১৯টি জেলার ৮৯ আসনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গুজরাটের প্রথম পর্বের নির্বাচনে ক্ষমতাশীন বিজেপি, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি-সহ ৩৯টি দলের মোট ৭৮৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতায় লড়ছেন।
হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইসুদান গড়বি এবং রাজ্য সভাপতি গোপাল ইটালিয়া। বিজেপি নেতা হার্দিক প্যাটেল এবং ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা।
ভোটারদের বুথমুখী করতে বিস্তর প্রচার চালিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রেকর্ড সংখ্যায় ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছেন ভোটারদের কাছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ভোটারদের বুথমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াও।
কংগ্রেসের তরফেও ভোটারদের বুথমুখী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। অভিযোগ, ভোটের পর ইভিএমের সুরক্ষায় কাজে লাগানো হচ্ছে গুজরাট পুলিশের হোমগার্ডদের, যা নিয়ম বিরুদ্ধ। ভোটের কাজে ত্রিপুরা রাইফেলেসকে কাজে লাগানো নিয়েও আপত্তি রয়েছে কংগ্রেসের। কমিশনে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে।
এবারের নির্বাচনে শাসক বিজেপি ও প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি (আপ)। আপের দাবি, এবারের মূল লড়াই তাদের সঙ্গে বিজেপির। কংগ্রেস কোনও লড়াইয়েই নেই। বিজেপি এবং কংগ্রেসের আপের সেই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
২০১৭ সালের নির্বাচনে এই ৮৯ টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৪৮টি আসনে। কংগ্রেসের ঝুলিতে ছিল ৪০টি আসন, একটিতে জয়ী হয়েছিল নির্দল প্রার্থী।
সূত্রঃ এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস। ছবিঃ সংগৃহীত।