প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপরাধমূলক তদন্তের তদারকি করার জন্য প্রাক্তন যুদ্ধাপরাধ তদন্তকারী জ্যাক স্মিথকে বিশেষ পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। শুক্রবার একটি প্রেস কনফারেন্সে, মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড, জ্যাক স্মিথের নিয়োগের ঘোষণা করেন। যিনি, নির্ধারণ করবেন ট্রাম্পকে কোনো অভিযোগের মুখোমুখি করা উচিত কিনা, অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে অভিযোগ দায়ের করা উচিত কিনা সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
গারল্যান্ড বলেছেন, স্মিথ ট্রাম্পের যে দুটি বিষয় তদারকি করবেন তা হলো, গত বছর হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রাম্পের সরকারী নথি সরানো মামলা, ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উসকানি দেয়ার মামলা।
ট্রাম্প ২০২৪ সালে আবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন বলে ঘোষণা করার তিন দিন পরে এসেছে। গারল্যান্ডের দাবি, আগামী নিবার্চনে ট্রাম্পের প্রার্থীতা বৈধতা নির্ধারণে একটি বিশেষ কাউন্সেলের নিয়োগকে প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মামলার তদন্তের জন্য কখনও কখনও বিশেষ কাউন্সেলদের নিয়োগ করা হয় এবং তারা বিচার বিভাগের নেতৃত্বের কাছ থেকে কিছুটা স্বাধীনতার সাথে কাজ করে। অন্যদিকে, জ্যাক স্মিথের নিয়োগকে ‘কারচুপির চুক্তি’ বলে অভিহিত করেছেন।
ফক্স নিউজে সাথে একটি সাক্ষাত্কারে ট্রাম্প দাবি করেন, তাকে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হতে বাধা দেয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসন তাকে টার্গেট করছে, এখানে একটি সুষ্ঠু তদন্ত হবে না।
ট্রাম্প বলেন, এটি একটি অপমানজনক, শুধুমাত্র ঘটছে কারণ আমি উভয় দলের প্রতিটি নির্বাচনে এগিয়ে আছি। তিনি আরও বলেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা খুবই অন্যায়। এটা খুবই রাজনৈতিক।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, স্মিথকে নিয়োগের সিদ্ধান্তের সাথে বাইডেন প্রশাসনের কোনও সম্পর্ক ছিল না।
সূত্রঃ রয়টার্স, এএফপি। ফাইল ছবি