৪ দিন পর কাতারের দোহায় পর্দা উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। প্রথম ম্যাচে কাতারের মুখোমুখি হবে ইকুয়েডর। এক মাস ধরে চলবে ফুটবল আসর। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ১৫ লাখ ফুটবল সমর্থক কাতারে সফর করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপে মোট ৩২টি দল অংশগ্রহণ করবে। ৩২টি দলেই তাদের নিজেদের স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সব স্টেডিয়াম।
আরবি ভাষায় এই বলের নাম দেয়া হয়েছে ‘আল রিহলা’। অর্থ ভ্রমণ বা যাত্রা। ফিফার দাবি, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে যত বল তৈরি হয়েছে, তার চেয়ে এটি বেশি গতিতে ছোটে।
‘আল রিহলা’র ব্যবহার করা হয়েছে সর্বোচ্চ প্রযুক্তি। বলটিতে থাকছে ‘সিআরটি কোর’ এবং স্পিডশেল। ভিএআরকে আরও আধুনিক করে তুলবে। নির্ভুল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা পাবেন রেফারিরা।
বলগুলোর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শিয়ালকোটের একটি কারখানায় বলগুলো তৈরি। কারখানাটি ফরওয়ার্ড স্পোর্টস নামে এক প্রতিষ্ঠানের।
জানা গেছে, রাশিয়া বিশ্বকাপের ‘টেলস্টার ১৮’ বলও তৈরির স্বত্বও পেয়েছিল পাকিস্তানের এই প্রতিষ্ঠান।
ফরওয়ার্ড স্পোর্টসের ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান মাসুদ বলেন, এবারের বিশ্বকাপের বলটি খুবই বেশি প্রতিক্রিয়াশীল এবং দ্রুতগামী। এই বলে ব্যবহৃত ২৫ শতাংশ উপাদান টেকসই এবং রি-সাইকেল করা উপাদান দিয়ে তৈরি। বলটির ওজন ৪২৫ থেকে ৪৪৫ গ্রাম এবং এটির আকার ৬৮ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার থেকে ৬৯ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। এবার বিশ্বকাপে তিন হাজারটি ফুটবল ব্যবহার করা হবে। যার মূল্য ৮ মিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তানে তৈরি হলেও কাতারের সংস্কৃতি, স্থাপত্য, প্রতীকী নৌকা এবং পতাকার রংয়ের মিশেলে তৈরি করা হয়েছে ‘আল রিহলা’ নামের বলটি। ২০ ধরনের ডিজাইন ব্যবহার করেছে অ্যাডিডাস।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে কাতার বিশ্বকাপ বলের উন্মোচন করেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিন। ছবিঃ সংগৃহীত।