দিল্লিতে এমনিতেই দূষণের মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। স্বাভাবিক সময়েই সেখানে নিঃশ্বাস নেয়া দায়।
দূষণের মাত্রা মাথায় রেখেই এবারও দিল্লির সরকার দীপবলিতে আতসবাজি পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লির অলিতে গলিতে চলেছে দেদার বাজি উৎসব। এই উদাসীনতার ফলাফল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন দিল্লিবাসী।
দীপাবলির পরেই দিল্লির বাতাসের গুণমান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ‘গুরুতর’ ছিলো। শনিবার সেই বাতাসের মান আরও খারাপ হয়ে ‘মারাত্বক’ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
একিউআই সূচকের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাজধানী নয়াদিল্লির বিভিন্ন এলাকার বাতাসের গড় গুণমাণ ছিলো ৪৫৬ পয়েন্ট। ২৩ অক্টোবর রাতে তাপমাত্রা এবং বাতাসের গতি কমে যাওয়া এবং লোকজনের আতসবাজি পোড়ানোর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দূষণের মাত্রা বেড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, একিউআই শূন্য থেকে ৫০পয়েন্টের মধ্যে থাকলে তা ‘ভাল’, ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে ‘সন্তোষজনক’ , ১০১ থেকে ২০০ ‘মোটামুটি’, ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে ‘গুরুতর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য় অনুযায়ী, শনিবার দিল্লির বাতাসের গুণমান ‘মারাত্বক’ পর্যায়ে ছিল। এই নিয়ে পরপর পাঁচদিন একই সীমায় রয়েছে।
বাতাসের গুণমানের বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্যানেল এনসিআর এ ২৪ টি শিল্পক্ষেত্র বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। বায়ু দূষণ সম্পর্কিত আইন ও নির্দেশিকাগুলি লঙ্ঘন করার অভিযোগে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দীপাবলির পর বর্তমানে দিল্লির রাস্তায় হাঁসফাঁস অবস্থা জনগণের।
সূত্রঃ এনডিটিভি। ফাইল ছবি।