Rishi Sunak: এগিয়ে গেল সুনাক, প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন না বরিস

Published By: Khabar India Online | Published On:

 প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন না। রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে এক বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বরিস নিজেই। ফলে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেল।

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে লিজ ট্রাসের পদত্যাগের ঘোষণার পর নতুন নেতা হওয়ার দৌড়ে যে কয়েক জনের নাম উচ্চারিত হচ্ছিল তাদের মধ্যে বরিস জনসনও ছিলেন।

রবিবার রাতে বিবৃতিতে তিনি বলেন, পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা তাকে সমর্থন করা শর্তেও তিনি সরে দাঁড়ালেন। আপাতত প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড়ে থাকা ঠিক হবে না বলে মনে করছেন। আরও বলেন, পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা যদি একতাবদ্ধ না হন তবে কার্যকরভাবে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন -  Liz Truss: যুক্তরাজ্যে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ, লিজ ট্রাসের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই

বরিস জানিয়েছেন, পার্লামেন্টে ১০২ জন আইনপ্রণেতা তাকে সমর্থন করছিলেন। বিবিসি বলছে, বরিসকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন এমন আইনপ্রণেতার সংখ্যা আসলে ৫৭ জন।

এই নির্বাচন না লড়লেও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আগামী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে বিজয় এনে দিতে পারব।

আরও পড়ুন -  ১০ বছরের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনাক। ১৩৬ জন আইনপ্রণেতা তাকে সমর্থন করছেন। যারা বরিসকে সমর্থন করছিলেন তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন এখন ঋষি সুনাককে সমর্থন করার ঘোষণা করেছেন।

ঋষি সুনাক ছাড়াও এই লড়াইয়ে রয়েছেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডান্ট। তাকে সমর্থন দিয়েছেন ২৩ আইনপ্রণেতা।

কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচিত করা হবে।

আরও পড়ুন -  টিআরপিতে এবার অন্য ভাবে চমক দিয়েছে এই সিরিয়াল, পর্ণা এবং ফুলকিকে হারিয়ে প্রথম বার টপার হলেন

পার্টির এই নেতাই মূলত প্রধানমন্ত্রী হবেন। বর্তমান পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীনদের আইনপ্রণেতা রয়েছেন ৩৫৭ জন। তারা নতুন দলনেতা নির্বাচিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে নাম লেখানোর জন্য একজন প্রার্থীর পক্ষে অন্তত ১০০ আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সড়ে দাঁড়ানোর পর বরিস জনসনের প্রশংসা করেছেন ঋষি সুনাক। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদে (ব্রেক্সিট) ও করোনাভাইরাসের টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নে দুর্দান্ত কাজ করেছেন বরিস।

সূত্রঃ বিবিসি, আল-জাজিরা। ছবিঃ সংগৃহীত।