Evin Prison: আগুনের ঘটনায় নিহত ৪, ইরানের এভিন কারাগারে

Published By: Khabar India Online | Published On:

ইরানের রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে বন্দীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও অগ্নিকাণ্ডের পর কমপক্ষে চারজন বন্দী নিহত এবং ৬১ জন আহত হয়েছে।

ইরানের বিচার বিভাগের কথা অনুযায়ী এই তথ্য জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ।

সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ রিপোর্ট করেছে, ধোঁয়া কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১০ জন বন্দীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা ‘আশংকাজনক’।

আগে তেহরানের এভিন কারাগারে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া। যেখানে অনেক রাজনৈতিক বন্দি, সাংবাদিক ও বিদেশি নাগরিকদের আটকে রাখা হয়েছ। প্রত্যক্ষদর্শীরা গুলির শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন -  Drones: রাশিয়াকে সাহায্য করবে ইরান, ড্রোন তৈরিতে

 রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে কারাগারের ঘটনার যোগ নেই বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।

ইরানের বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অপরাধ ও চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত বেশ কয়েকজন বন্দীর মধ্যে লড়াইয়ের পর একটি কারাগারের কর্মশালায় আগুন লাগে। তেহরান ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন -  Shehnaz Broke Down: কান্নায় ভেঙে পড়লেন শেহনাজ ! ভিডিও দেখুন

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এভিন কারাগারের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছি।

আর একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কারাগারের প্রধান প্রবেশপথে বন্দিদের স্বজনরা জড়ো হয়েছিল। আমি আগুন এবং ধোঁয়া দেখতে পাচ্ছি।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ আরও জানিয়েছে, একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, কারাগারে শান্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেছেন যে, অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শোনা যাচ্ছে এবং কারাগারের থেকে এখনও ধোঁয়া উঠছে।

আরও পড়ুন -  শীতের সবজি পালং শাক, বানিয়ে ফেলুন, পালং শাকের পাকোড়া

উল্লেখ্য, বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বিদেশি নাগরিকসহ ইরানি নিরাপত্তার অভিযোগে বন্দিদের বেশির ভাগই রাখা হয় এভিন কারাগারে। কারাগারটি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা অধিকার গোষ্ঠীগুলির দ্বারা সমালোচিত হয়েছে এবং ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ জন্য ২০১৮ সালে মার্কিন সরকারের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।

সূত্রঃ আল জাজিরা। ছবিঃ সংগৃহীত।