Liz Truss: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস, পদ হারানোর শঙ্কায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

 ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের পরিস্থিতি টালমাটাল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লিজ ট্রাসকে নাকি তার নিজের দলের অনেকেরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ করছেন না।

কর ছাড়ের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিলেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। করপোরেট কর বাড়ানোর পদক্ষেপ বাতিলের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই দেশের সর্বোচ্চ করদাতাদের উপর থেকে করের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মাত্র দশ দিনের মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন তিনি।

আরও পড়ুন -  আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে অসাধারণ সাফল্য মাধ্যমিকে, ময়নাগুড়ি থানার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা কৃতি ছাত্রীকে

 ট্যাক্স ইস্যুকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন তৈরি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস শুক্রবার অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে কোয়াসি কোয়ার্টেংকে সরিয়ে দিয়েছেন। স্থলাভিষিক্ত হন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে লিজ ট্রাস ঘোষণা করেন যে, তিনি করপোরেশন ট্যাক্সের পরিকল্পিত বৃদ্ধি পুনর্বহাল করবেন। এই পদক্ষেপ ব্রিটিশ সরকারের ঋণের উভয় গ্রহীতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।

তিনি স্বীকার করেন যে, বাজারের প্রত্যাশার চেয়ে আরও বেশি এবং দ্রুত নেয়া হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত। এখন তিনি বলছেন যে তার অগ্রাধিকার তার ঋণদাতাদের কাছে ব্রিটেনের বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করা। মাঝারি মেয়াদে জিডিপির শতাংশ হিসাবে ঋণ কমছে তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি ‘যা কিছু প্রয়োজন’ তা করবেন।

আরও পড়ুন -  Mario Draghi: ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও, পদত্যাগের ঘোষণা করলেন

উল্লেখ্য, দেশের সর্বোচ্চ আয়কারী নাগরিকদের যে পরিমাণ কর দিতে হত, তার ৪৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল লিজ ট্রাসের সরকার। তারপরেই বিশ্ববাজারে ঐতিহাসিক ভাবে কমে যায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম। ফলে সরকারের আর্থিক নীতি ঘিরে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায় কনজারভেটিভ পার্টির অভ্যন্তরেই। লিজ ট্রাসের নীতির কঠর সমালোচনা করেন তার নিজের দলের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী পদে ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনকের পক্ষে থাকা এমপিরা কড়া সরকারি নীতির নিন্দা করেছেন।

আরও পড়ুন -  Mother Katyayani: মা কাত্যায়নীকে প্রধানমন্ত্রীর প্রণাম

সবমিলিয়ে দলের মধ্যে প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছেন ট্রাস। সূত্র জানিয়েছে, ট্রাসকে মাত্র ১৭ দিন সময় দিয়েছেন তার দলের এমপিরা। সেই সময়ের মধ্যে নাটকীয়ভাবে ব্রিটেনের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা কার্যত অসম্ভব ট্রাসের পক্ষে।

সূত্রঃ  বিবিসি, রয়টার্স। ফাইল ছবি।