আন্টার্কটিকার থোয়াইটেস গ্লেসিয়ার। এখন নতুন নাম ডুমস ডে গ্লেসিয়ার। এটিকে নিয়ে এখন বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানী থেকে পরিবেশবিদ সকলে উদ্বিগ্ন।
জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিশ্ব জুড়ে যে গ্লেসিয়ারগুলি নিয়ে সকলে উদ্বিগ্ন, তার মধ্যে অন্যতম আন্টার্কটিকার এই থোয়াইটেস গ্লেসিয়ার, তথা ডুমস ডে গ্লেসিয়ার। শুধু উদ্বেগই নয়, আতঙ্কও। কীসের আতঙ্ক? বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন এই গ্লেসিয়ার যদি গলে যায় তবে সমুদ্রস্তর বেড়ে যেতে পারে ৩ থেকে ১০ ফুট! আতঙ্কের পক্ষে যথেষ্ট। এই সংক্রান্ত গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার জিওসায়েন্স পত্রিকায়।
ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে এই হিমবাহ। এরকম চলতে থাকলে আগামী দিনে বিশ্বের সমুদ্রস্তরের সামগ্রিক উচ্চতাবৃদ্ধিতে আন্টার্কটিকের অবদান রীতিমতো দুশ্চিন্তার ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
কী কী ভয়ংকর তথ্য জানা গেছে, হিমবাহের ক্ষয় সম্বন্ধে?
- থোয়াইটেস হিমবাহ সমুদ্রের জলেতে ভাসছে।
- প্রতি বছর ২.১ কিলোমিটার করে সরে যাচ্ছে।
- ২০১১ থেকে ১০১৯ সালের মধ্যে হিমবাহগলনের সর্বোচ্চ হার এটিই।
- হঠাৎ করে গ্লেসিয়ারটি গলতে শুরু করেছে, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, গত দু’শতক ধরেই একটু একটু করে গলছে।
- থোয়াইটেস হিমবাহ একটা দীর্ঘ বাঁধের মতো কাজ করে, ভূমি অংশের বরফখণ্ডগুলির সমুদ্রে নিয়মিত পড়াটা আটকায়।
- সত্যিই যদি কোনও দিন স্বয়ংপূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়, সে শুধু একাই ডুববে না, সঙ্গে ছোট-খাটো আরও বেশ কয়েকটি বরফস্তরও নষ্ট করে ফেলবে, যার ফল ভালো হবে না।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটকে রুখে দিতে না পারলে ধীরে ধীরে তা বড় ধরনের সমস্যার দিকে বাঁক নেবে। প্রকৃতিকে তা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখোমুখি করবে। শিল্পোন্নত আধুনিক দেশগুলি সামগ্রিক কার্বন নিঃসরণ কমাতে না পারলে এই ভয়ংকর দিন দেখতে হতেই পারে মানবজাতিকে। সূত্রঃ জি নিউজ।