চীনের দক্ষিণ – পশ্চিমাঞ্চলীয় সিশুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিসিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের পর থেকে এটিই সিশুয়ানে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। সিশুয়ান প্রদেশের রাজধানী শহর চাংদু ও কয়েকশ কিলোমিটার দূরের শহর শিয়ান ও ছাংশাতেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি লুদিং শহরের ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে আর এটি ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে ২ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার শহর চাংদুতেও অনুভূত হয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন দাবদাহের পর এখন কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে লকডাউনে থাকা চাংদুর একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের ৩০ তলার বাসিন্দা শার্লি লি বলেন, কম্পন বেশ শক্তিশালী ও কিছুক্ষণ স্থায়ী ছিল। আমাদের কঠিন সময় যাচ্ছে, দাবদাহ, কোভিড লকডাউন আর এখন ভূমিকম্প। প্রথম ভূমিকম্পের কয়েকটি মিনিট পরই চেংদু থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ইয়ান শহরে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভুকম্পন হয়।
সিশুয়ান প্রদেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্প একটি সাধারণ ঘটনা, পশ্চিমের পার্বত্য অঞ্চলে। শিংহাই-তিব্বতিয়ান মালভূমির পূর্ব সীমান্তের এলাকাটি টেকটোনিক্যালি সক্রিয় এলাকা।
লুদিং শহরে ভূমিকম্প এত শক্তিশালী ছিল যে মানুষ দাঁড়িয়েও থাকতে পারছিল না, কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দেয় বলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম চায়না নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আসা ভিডিও ক্লিপে লোকজনকে ভবনগুলো ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসতে দেখা গেছে। এই ভূমিকম্প কেন্দ্রের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে মোট ৩৯ হাজার মানুষ বাস করে আর ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে বাস করে ১৫ লাখ ৫০ হাজার।