ভারতের বাইরে অনেকেই আদানির নাম শুনেছিলেন কিনা সন্দেহ। সেই আদানি, যে কিনা কলেজও পাশ করতে পারেনি, এবার হয়ে গেলেন বিশ্বের তৃতীয় ধনকুবের। এশিয়ান হিসেবে এই প্রথম বিরলতম নজির স্পর্শ করলেন আদানি।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, বিলাসবহুল ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিটনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বার্নার্ড আর্নল্টকে ছাপিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছেন আদানি। বর্তমানে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় এখন আদানির আগে রয়েছেন মাত্র দু’জন। একজন এলন মাস্ক ও অপরজন জেফ বেজোস।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে, টেসলা সিইও ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা সিইও জেফ বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় এই শিল্পপতির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
গত কয়েক বছর ধরেই আদানি গ্রুপ নানা খাতে ব্যবসা ছড়িয়ে দিচ্ছিল। তারই ফলশ্রুতিতে বিশ্বের তৃতীয় ধনী গৌতম আদানি। ডেটা সেন্টার থেকে সিমেন্ট, মিডিয়া সব ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করেছেন আদানি। বর্তমানে এই গোষ্ঠী দেশের বেসরকারি খাতের বৃহত্তম বন্দর ও এয়ারপোর্টের অপারেটর। দেশের সবচেয়ে বড় কয়লা ব্যবসায়ী বলেও জানা গেছে।
একটি রিপোর্ট বলছে আদানি ২০২২ সালেই আদানির সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০.৯ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা অন্য যে কারোর থেকেই কমপক্ষে ৫ গুণ বেশি।
চলতি বছরের শুরু থেকেই একের পর এক নজির স্পর্শ করেছেন আদানি। গত ফেব্রুয়ারিতে মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলেন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী হিসেবে এবং এপ্রিল মাসে শত কোটিপতি ( সেন্টবিলিয়নেয়ার) হয়েছিলেন। গত মাসে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসেবে মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের বিল গেটসকে ছাড়িয়ে যান। এবার এলেন তৃতীয় স্থানে।