পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নতুন করে হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে পাকিস্তান সরকার। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশ সহায়তা করেছে।
বন্যার কারণে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করছে পাকিস্তান সরকার। বিরামহীন এই বর্ষণকে ‘মহাকাব্যিক পর্যায়ের জলবায়ুজনিত মানবিক সংকট’ বলেও অভিহিত করেছে তারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জুন থেকে শুরু হওয়া অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে হড়কা বানও দেখা দেয়। দক্ষিণাংশেই এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। সিন্ধু প্রদেশের ২৩টি জেলা এখনও বন্যার জলে তলিয়ে আছে।
বেলুচিস্তান প্রদেশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) বলছে, সর্বশেষ ১১৯ জনকে নিয়ে বন্যায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ১০৩৩ জন, মৃতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৩৪৮। গত ২৪ ঘণ্টায় আহত ৭১ জনকে নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫২৭ জনে।
এনডিএমএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ৮২ হাজারের বেশি বাড়িঘর আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে চুড়ে গেছে। ছবিঃ সংগৃহীত।