টুইন টাওয়ার খ্যাত উত্তর প্রদেশের নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ারটি,রবিবার দুপুরে ভেঙে ফেলা হবে।
প্রায় নয় বছর আইনি লড়াই শেষে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন আদালত। এগুলো ধ্বংস করতে ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে। মাত্র ৯ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে ভবনটি।
রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
‘সুপারটেক এমেরাল্ড কোর্ট ’ হাউজিং সোসাইটি মূলত অনুমোদিত ছিল, তখন বিল্ডিং প্ল্যানে ১৪ টাওয়ার এবং নয়টি তলা দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে পরিকল্পনাটি সংশোধন করা হয়েছিল এবং নির্মাতাকে প্রতিটি টাওয়ারে ৪০ তলা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যে এলাকায় টাওয়ার তৈরি করা হয়েছিল, সেই জায়গাটিকে মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী বাগান করার কথা ছিল।
সুপারটেক এমেরাল্ড কোর্ট সোসাইটির বাসিন্দারা ২০১২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে নির্মাণটি অবৈধ বলে মামিলা দয়ের করেন। আবেদনকারীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, সুপারটেক গ্রুপ আরও ফ্ল্যাট বিক্রি করতে এবং তাদের লাভের মার্জিন বাড়ানোর জন্য নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।
তদনুসারে, ২০১৪ সালে, আদালত আদেশ দাখিলের তারিখ থেকে চার মাসের মধ্যে টাওয়ারগুলি ভেঙে ফেলার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।
এরপর মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপারটেক কতৃপক্ষ ও ফ্ল্যাট মালিকরা সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ বিচার কার্য শেষে গত বছর আগস্টে চূড়ান্ত রায়ে টাওয়ারগুলো ভেঙে ফেলার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট টাওয়ারগুলো ভাঙতে তিন মাস সময় দিলেও প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে এক বছর লেগে যায়। এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং, দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের সাথে চুক্তি করেছে যারা তিন বছর আগে জোহানেসবার্গে একটি ব্যাংক ভবন ধ্বংসের অংশ ছিল।
নয়ডা টুইন টাওয়ারের প্রতিটি ভবন প্রাথমিকভাবে ৪০ তলা নির্মাণ করার পরিকল্পনা থাকলেও আদালতের বাধার কারণে সম্পূর্ণ নির্মাণ করা যায়নি। বর্তমানে দুটি টাওয়ারের মধ্যে অ্যাপেক্স ভবনে রয়েছে ৩২টি তলা। অন্যটির নাম সিয়ান টাওয়ার, যেটি ২৯ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছিলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯০০টি ফ্ল্যাট, যার দুই-তৃতীয়াংশ বুক করা বা বিক্রি করা হয়েছে। যে ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি করা হয়েছে তাদের মালিককে সুদসহ ফেরত সমস্ত অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ছবিঃ সংগৃহীত।