জেলা সংগঠনেও করা হয়েছে ব্যাপক রদবদল। তারপরেও আরও কিছু করা প্রয়োজন। বছর ঘুরলেই সামনে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন।
সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় দলকে বড় ঝাকুনি দিতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসকদের চিঠি লিখে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত এলাকায় যদি কোন রকম কোন চুরি দেখা যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করুন। এই এফআইআর-র বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
এবারে ধাপে ধাপে শুরু হয়েছে ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা। সে ক্ষেত্রে সম্ভাবনা রয়েছে এখানেও বড় রদবদল করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ব্লক স্তরের সভাপতিদের বৈঠক ডাকা শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলা থেকে শুরু করে শহরে তার ছবি এবং পোস্টার দেখা গিয়েছে গত কয়েকদিনের। এখানে লেখা রয়েছে, আগামী ছ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল। তারি মধ্যে আগামী সপ্তাহে আবার নতুন করে জেলা ভিত্তিক বৈঠক করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি অভিষেক হয়ে উঠছেন ধীরে ধীরে তৃণমূলের নতুন মুখ? প্রশ্নটা ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর, এবার সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই রাজ্যের সমস্ত জেলা সভাপতি ব্লক সভাপতি জেলা পরিষদের সদস্য এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ডাকতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সম্ভাবনা আছে এই তারিখটা ৭ সেপ্টেম্বর। এখানেই সমস্ত স্তরের নেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে, নিজে নিজে জেলায় এখন থেকে কি করতে হবে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোন কোন কাজে এগিয়ে থাকতে হবে।
এই বৈঠকের আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশি। যদিও তিনি এই বিষয়ে কোন কথা বলছেন না। সূত্রের খবর, দলের এই বৈঠক থেকে দলের প্রত্যেকটি স্তরকে কঠোর বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাশাপাশি এই বৈঠক থেকে আর্থিক শিষ্টাচার নিয়ে দলের নেতৃত্বকে সতর্ক করতে পারেন মমতা।