শ্রী অর্জুন মুন্ডা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশে ৩১টি শহরে ‘ট্রাইবস ইন্ডিয়া অন হুইল্স’ মোবাইল ভ্যানের সূচনা করেছেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা দেশের ৩১টি শহরে ‘ট্রাইবস ইন্ডিয়া অন হুইল্স’ মোবাইল ভ্যানের সূচনা করেছেন। দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি রেনুকা সিং সারুতা এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইফেডের চেয়ারম্যান শ্রী রমেশ চাঁদ মিনা সহ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আমেদাবাদ, এলাহাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, ভূপাল, চেন্নাই, কোয়েমবাতোর, দিল্লী, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, জগদলপুর, খুন্তি, মুম্বাই, রাঁচি সহ বেশ কয়েকটি শহরে ৫৭টি মোবাইল ভ্যানে বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করা হবে।

আরও পড়ুন -  "সেইদিনের অপেক্ষায়"!

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শ্রী মুন্ডা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর এই সঙ্কটের সময়ে জনসাধারণ যতটা সম্ভব নিরাপদে থাকার চেষ্টা করছেন। ট্রাইসেড এই সময়ে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ বর্ধক পণ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য জৈব চাষে উৎপাদিত পণ্য মানুষের দরজায় পৌঁছে দিচ্ছে। ‘গো ভোকাল ফর লোকাল’ এই মন্ত্র অনুসরণ করে ট্রাইসেড ‘গো ভোকাল ফর লোকাল গো ট্রাইবাল’ মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মহামারীর এই সময়ে আদিবাসী মানুষরা যে সংকটে পড়েছেন সেই অবস্থায় তাঁদের সাহায্য করার জন্য এই ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মোবাইল ভ্যানের সাহায্যে ট্রাইসেড আদিবাসীদের উৎপাদিত পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। বিক্রি হওয়া সামগ্রীর লভ্যাংশ আদিবাসীদের জীবন-জীবিকায় সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন -  জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, মাল পুরসভার নাম ঘোষণা

শ্রীমতি সারুতা জানিয়েছেন, ট্রাইসেডের এই উদ্যোগে শহরাঞ্চলের মানুষ ঘরে বসেই ওই সব উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী পেয়ে যাবেন। শ্রী মিনা বলেছেন, মহামারীর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসী শিল্পী এবং বনবাসীরা এই উদ্যোগে উপকৃত হবেন। মোবাইল ভ্যানের সাহায্যে জৈব চাষে উৎপাদিত হলুদ, শুকনো আমলকি, বনে উপাদিত মধু, গোলমরিচ, রাগী, ত্রিফলা সহ বিভিন্ন দানাশস্য বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -  LPG Gas সিলিন্ডারে থাকবে QR কোড, স্ক্যান করে পাবেন সুবিধা

এই মহামারীর কারণে হঠাৎ লকডাউন ঘোষণার ফলে আদিবাসী শিল্পীদের উৎপাদিত কোটি কোটি টাকার জিনিস বিক্রি হচ্ছিল না। ট্রাইফেড, ট্রাইবস ইন্ডিয়া ওয়েবসাইট সহ অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন ব্যবস্থাপনাতে এগুলি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। এই পদ্ধতিতে দেশের ৫ লক্ষ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছেন। সূত্র – পিআইবি।