মন ভালো নেই, একটু যেনো খটমট লাগছে জিনিষটা। আসলেও কিন্তু তাই। জিনিষটা খানিকটা নয়, বরং বেশ অনেকটাই চিন্তায়।
মন ভালো নেই, এটা কেমন রোগ বাপু, আবার সেইসব রোগীদের নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে! এমনটাই ভাবছেন? তবে কিনা, এই কেমন কেমন লাগিয়ে দেয়া জিনিষটা খুব একটা এড়িয়ে যাবার মতন নয়। খুব জটিল হয়ে উঠতে পারে যদি না সময় থাকতে সচেতন হন। কাজেই কপালে ভাঁজ না ফেলে জেনে নিন।
রোগ থেকে মুক্তির আগে প্রথমেই আপনাকে নিজের প্রয়োজন বুঝতে হবে। অনেক সময় আমরা যা চাই তা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হয়। তা না পাওয়া আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এক্ষেত্রে সেসব চাহিদা পাওয়া এবং না পাওয়া দুটোই ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে আপনাকে সেটা আপনার প্রয়োজনের তালিকায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাই ভাবতে হবে।
আপনার ভালো লাগে এবং আপনি উপভোগ করছেন এমন ছোট ছোট কাজের অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে ভালো লাগছে না এই অসুখ খুব একটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার জায়গা পাবেনা। বরং আপনার সময় আনন্দের মধ্যে কাটবে।
মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে ব্যায়ামে। ব্যায়াম করলে মন ভালো হয়। ভালো লাগছে না এমন সময়ে একটু ব্যায়াম করে নিতে পারেন। একটু হেঁটে আসলেন বাইরে থেকে। বা বাসায়ই একটু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করে নিলেন। ব্যায়াম করলে ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসৃত হয়। এছাড়াও ব্যায়াম শরীরে এন্ডোরফিন নামের হরমোন নিঃসৃত করে, যা মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়।
শরীর মন ভালো রাখার আরেকটি কার্যকরী উপায় হল পর্যাপ্ত ঘুম। কথায় আছে শরীর ভালো থাকলে মন ভালো থাকে। তাই শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত টানা আট ঘণ্টা ঘুম খুব দরকার।
নিজের দৈনন্দিন জীবনযাপনের রুটিনে একটু পরিবর্তন এনে, মন ভালো রাখার উপায় বের করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।