খালি পেটে এই ‘বেড টি’ পানের অভ্যাস কিন্তু মারাত্মক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ে রয়েছে ক্যাফেইন, যা খালি পেটে পান করলে বুকের মধ্যে জ্বালাপোড়া সৃষ্টির পাশাপাশি হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়। খালি পেটে ব্ল্যাক টি পানে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয়।
চায়ে থিওফিলিন নামে এক ধরনের যৌগ থাকে, যা ডিহাইড্রেশন ঘটায়। খালি পেটে চা পান জল শূন্যতার কারণ হতে পারে। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের পর শরীরে খাবার ও জলের পরিমাণ একেবারেই থাকে না।
চায়ে থাকে প্রচুর মাত্রায় ক্যাফিন, খালি পেট থাকালীন শরীরে প্রবেশ করলে দেহের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে হঠাৎ করে মাথা ঘুরে যাওয়া বা বমি পাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যদি খালি পেট থাকাকালীন ক্যাফিনের প্রবেশ ঘটে, তাহলে তো কথাই নেই। সে ক্ষেত্রে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি।
স্টাডিতে দেখা গেছে, সকালে খালি পেটে চা পান করলে মস্তিষ্কের ভেতরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
দাঁত না মেজেই চা বা কফি খেলে মুখ গহ্বরের ভেতরে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দাঁতের উপরের আবরণ বা এনামেল নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। আর এমনটা হতে থাকলে এক সময়ে গিয়ে দাঁতের ক্ষয় আর আটকানো যায় না। শুধু তাই নয়, এমন অভ্যাসের কারণে জিনজিভাইটিসসহ একাধিক গাম ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
এমন পরিস্থিতিতে দাঁত না মেজেই যদি চা বা কফি পান করা হয়, তাহলে এই সব ব্যাকটেরিয়া খাদ্য নালি হয়ে এসে পৌঁছায় স্টমাকে। ফলে সেখানে অ্যাসিডের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যা নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
সকাল সকাল খালি পেটে চা বা কফি পানের অভ্যাস থাকলে পেটের ভেতরে, বিশেষত পাকস্থলীতে মারাত্মক প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা স্টামক ইনফেকশনের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এক গ্লাস জল খাওয়া উচিত, যাতে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে পারে।