পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে বাদামের কোনও বিকল্প হয় না। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি নিয়মিত বাদাম খাওয়া শুরু করেন, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ ঘটে, যা শরীরকে চাঙ্গা রাখে।
বাদাম এর উপকারিতাঃ
হাড়ের স্বাস্থের উন্নতি ঘটে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাই তো প্রতিদিন এক বাটি করে বাদাম খাওয়া শুরু করলে জীবনে কোনোদিন কোনও হাড়ের রোগে আক্রান্ত হবে না।
ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্ড্রস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা কগনিটিভ পাওয়ার। সহজ কথায় বললে,মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ক্যান্সারের রোগ দূরে থাকে। বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।এক মুঠো বাদাম খেলে শরীরে মাত্র ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করে। ফলে এ খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় থাকে না।
রোগ প্রতিরোধ উন্নতি ঘটায়। এটি হল এমন একটি উপাদান যা ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। গত কয়েক দশকের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখতে পাবেন কীভাবে অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ বিষয়ে সাবধান থাকাটা জরুরি। শরীরে যাতে কোনোভাবেই বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি না পায় খেয়াল রাখতে হবে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে, শুধু ডায়াবেটিস নয়, বাদামে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।