কিছু মানুষের প্রেম-ভালোবাসা হয় ক্ষণস্থায়ী। কিছুদিন পরই দেখা দেয় ভাঙন। সম্পর্কে মিলন ও বিচ্ছেদ হয়েই থাকে। কখনো ‘ব্রেক আপ’ সম্পর্ককে একেবারে শেষ করে দিতে পারে।
প্রেমের সবচেয়ে বৈপরীত্যময় বিশেষত্ব হলো,দুজনের মধ্যে যিনি বেশি সিরিয়াস, সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণে তিনি থাকেন না। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তখন তার অবস্থা হয় বেশি খারাপ। তিনি জীবনবিমুখ হয়ে উঠেন।
ঠিক এ সময়টাতেই যদি অন্য কেউ সেই ক্ষত পূরণের দায়িত্ব নেয়, তবে সেটা মন্দ নয়। বরং ভুলকে শুধরে নেয়ার আরেকটি সুযোগ।
১) প্রথম প্রেমে এক ধরনের ছেলেমানুষি থাকে। যে কারণে কথায় কথায় অভিমান, ঝগড়া প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। দ্বিতীয় প্রেমে অযথা ঝগড়ার ব্যাপারটা অনেক কমই থাকে। দ্বিতীয় প্রেমে কোনও তিক্ত কথা শুরু হলেই আপনি বুঝতে পেরে যাবেন।
২) দ্বিতীয় প্রেমে নিরাময় ক্ষমতা আছে। দ্বিতীয় প্রেম চিকিৎসাগত প্রভাব সমার্থক,ততদিন যতদিন এটি দ্বিতীয় হিসেবে থাকে। প্রেমের প্রতি আপনার বিশ্বাসকে পুনর্বহাল করে কেবল দ্বিতীয় প্রেম। এটা মৌলিক মানব প্রকৃতি যা প্রেম এবং যত্নে আকৃষ্ট হয়।
৩) আপনি বেশি সুখ এবং বিশ্বাস খুঁজে পাবেন। এখন আপনার সঙ্গী জানেন যে, আপনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কিভাবে পরিচালনা করতে হবে, বিশ্বাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিকশিত হয়। এই বিশ্বাস আপনার সম্পর্ককে এমনকি শক্তিশালী করে।
৪) আলোচনা এবং ঝগড়া কম হয়। অভিজ্ঞতা এখানে তার জাদুর খেলা দেখায়, আপনার জন্য যুক্তির কোথায় অগ্রগতি হবে, তাই আপনি প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সেই অনুযায়ী কথা বলেন। আপনি যা বলবেন তার প্রতি বেশি মনোযোগ দেবেন এবং আপনার সঙ্গীর কি মনে লাগতে পারে, সেটা মনে রেখে দেবেন।
৫) প্রথম প্রেমের আঘাত যে কাউকে পাগল করে দেয়। প্রথম প্রেম অল্প বয়সের প্রেম। তাই ভেঙে গেলে জীবন শূন্য মনে হতে থাকে। কিন্তু দ্বিতীয় প্রেম সেই ক্ষতকে সারিয়ে তোলে।