Russia: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলো রাশিয়া

Published By: Khabar India Online | Published On:

 পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় বুধবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা করেছে রাশিয়া। দেশটির জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রোম এ ঘোষণা করে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বুধবার রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার রুশ সিদ্ধান্ত হচ্ছে ইউরোপকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার শামিল।

পোল্যান্ডের গ্যাস কোম্পানি পিজিএনআইজি বলেছে, তাদের বলে দেয়া হয়েছে- বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে আর গ্যাস দেয়া হবে না। বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বলা হয়, বুধবার থেকে তাদের দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে।

আরও পড়ুন -  Bhojpuri Video: গভীর রাতে আম্রপালিকে জড়িয়ে ধরে নাচ করলেন নিরাহুয়া, এই নাচ সবার সাথে দেখা যাবে না

কী কারণে এ দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে? যেসব দেশ ইউক্রেনকে সহযোগিতা দিচ্ছে বা তাদেরকে সমর্থন করছে, রাশিয়া তাদেরকে ইতোমধ্যে ‘অবন্ধু’ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

সম্প্রতি রাশিয়ার পক্ষ থেকে ঘোষণা করে,অবন্ধুসুলভ দেশগুলোকে জ্বালানি নিতে হলে অবশ্যই রুশ মুদ্রা রুবলে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে তাদের গ্যাস সরবরাহ করা হবে না। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া ওই শর্ত মানতে অসম্মতি জানিয়েছে। এর পরই পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন -  Iran Citizens: ইরান, ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নাগরিকদের

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রোম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রুবলের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ না করার কারণে বুলগারগাজ ও পিজিএনআইজিকে গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করেছে গ্যাজপ্রোম।’

পোল্যান্ডের গ্যাস কোম্পানি পিজিএনআইজি অধিকাংশ গ্যাস আমদানি করে থাকে গ্যাজপ্রোম থেকে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেও প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্যাসের ৫৩ শতাংশ সরবরাহ করেছে রাশিয়ার কোম্পানিগুলো। তারা বলছে, হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করাটা চুক্তির লঙ্ঘন। তাদের পক্ষ থেকে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -  Train Rules: ট্রেন মিস করলে কটি স্টেশন পর্যন্ত টিকিট বৈধ থাকবে? জেনে নিন ভারতের রেলের নিয়ম

তবে পোল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ৭৬ শতাংশ গ্যাসের মজুদ রয়েছে। বাকিটার জন্যে তারা গ্যাসের বিকল্প উৎসের জন্য চেষ্টা করবে।

অপরদিকে বুলগেরিয়ার গ্যাসের ৯০ শতাংশই আসে গ্যাজপ্রম থেকে। এ মুহুর্তে গ্যাস ব্যবহারের জন্য কোনো বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে না বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

 প্রতীকী ছবি: রয়টার্স