খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ বেসরকারি ট্রেন পরিষেবার জন্য যোগ্যতা ও প্রস্তাব সম্পর্কিত দ্বিতীয় প্রাক-বাস্তবায়ন সম্মেলন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবার ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশগ্রহণের এই কর্মসূচিটি যাত্রীদের ট্রেন সফরের অভিজ্ঞতায় এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। একই সঙ্গে, ট্রেন পরিষেবার মান বাড়বে এবং যাতায়াতের সময় আরও হ্রাসের পাশাপাশি রোলিং স্টক সংক্রান্ত আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে চাহিদা ও ঘাটতির ফারাক হ্রাস পাবে। এই কর্মসূচির ফলে, জনসাধারণের সুবিধার্থে পরিবহণ পরিষেবা আরও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই যে সমস্ত ট্রেন চালানো হচ্ছে, বেসরকারি অংশগ্রহণের ফলে চালু হওয়া ট্রেন পরিষেবাগুলি হবে তার অতিরিক্ত।
বেসরকারি অংশগ্রহণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ট্রেন পরিষেবা চালু হলে কর্মসংস্থানের সুবিধা বাড়বে।
রেল পরিষেবায় বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণের বিষয়টি দুটি পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থির করা হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির যোগ্যতা ও প্রস্তাবের বিষয়গুলি যাচাই করা হবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বেসরকারি ট্রেন পরিষেবার জন্য যোগ্যতা ও প্রস্তাব সম্পর্কিত প্রথম প্রাক-বাস্তবায়ন সম্মেলন গত মাসের ২১ তারিখ আয়োজিত হয়। এই সম্মেলনে আরও বেশি সংখ্যক বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা ও প্রস্তাব সম্পর্কিত মাশুল রেল মন্ত্রক এক-দশমাংশ হ্রাস করেছে। দ্বিতীয় প্রাক্-বাস্তবায়ন সম্মেলনে বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। এই সম্মেলনে প্রায় ২৩টি সংস্থা যোগ দেয়। বেসরকারি উদ্যোগে ট্রেন চালানোর জন্য অংশগ্রহণকারী সকল পক্ষকে যোগ্যতা ও প্রস্তাব সম্পর্কিত সমস্ত নীতি-নির্দেশিকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় প্রাক-বাস্তবায়ন সম্মেলনের বিশদ বিবরণ আগামী ২১শে অগাস্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যেই জমা পড়া আবেদনপত্রগুলি আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে যাচাই করে দেখা হবে। সূত্র – পিআইবি।