Tollywood: ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো কথা বলা যায়নাঃ চিরঞ্জিত চক্রবর্তী

Published By: Khabar India Online | Published On:

 জি বাংলার অপুর সংসারের এসে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম একজন কালজয়ী সুপারস্টার চিরঞ্জিত মন খুলে অনেক কথা বলেছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে।

 অভিনয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত আঁকার হাত চিরঞ্জিতের। অভিনেতা জানান এটি তার জন্মগত, কারণ বাবাকে তিনি ছোটবেলা থেকেই আঁকতে দেখতেন। চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর পিতা ছিলেন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট শৈল চক্রবর্তী।

কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন অভিনয়ের মঞ্চে। তিনি যখন দূরদর্শনের খবর পড়তেন তখন একদিন প্রডিউসার গিয়ে তার সামনে হাজির হয়। তার নাকি ইচ্ছে ছিল নিজের লেখা স্ক্রিপ্টে মিঠুন চক্রবর্তী নায়ক হবে।

প্রথম জীবনের সংগ্রামের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,“আমি ডিরেক্টরদের স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাতাম কিন্তু যখন আমার স্ক্রিপ্ট খুব ইন্টারেস্টিং জায়গায় চলে যেত তখন দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়ছেন। আমি তখন বুঝেছিলাম যে এইভাবে হবে না।” কিন্তু তারপর নায়ক হিসেবে তার উত্থান হয় এবং তারপর তাকে আর পিছনে ফিরতে হয়নি।

আরও পড়ুন -  তিন বোনকে বিয়ে করলেন একজন!

চিরঞ্জিত মনে করেন এখন ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো স্টার নেই। কারণ যার মধ্যে স্টারডম থাকে সে কখনো প্রডিউসারের পিছনে ঘোরে না তারা ডিরেক্টরের পিছনে ঘোরে, এমনটাই তিনি মনে করেন। তিনি দ্বিধাহীন ভাষায় বলেন যে বাংলায় ইংরেজিতে এখন এমন কোন আর্টিস্ট নেই যে প্রোডিউসারের পিছনে না ঘুরে ডিরেক্টরের সঙ্গে সিনেমা নিয়ে আলোচনা করেন।

তার মতে দেব বা জিৎ স্টার হতে পারে না কারণ তারা নিজেরাই নিজেদের ছবি প্রোডিউস করে। তার মাথায় স্টার হতে গেলে রাজেশ খান্নার মতো হতে হয়। তার মতে সংবাদপত্রের প্রতিদিন চর্চা, ইন্টারভিউ এগুলি স্টারডমের ক্ষতি করে। চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ও একসময় সেই স্টারডম পেয়েছিলেন কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি একথা তিনি অকপটে স্বীকার করে নেন। তিনি মজা করে বলেন যে শুটিং সেটে সময়মতো পৌছাতে পারেনা সেই স্টার যেমন এখনকার ইন্ডাস্ট্রিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

আরও পড়ুন -  বহুদিন পর করোনা পরিস্থিতির লড়ায়ের সাথে থিয়েটার উৎসবে মাতলেন

বর্তমানে বাংলা সিনেমার বাণিজ্যের ভাড়ার প্রায় শূন্য। গোটা বছরে একটা কি দুটো ছবি লক্ষ্মী লাভ করে উঠতে পারে। এই বিষয়ে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর মতামত চেয়ে আগে যে বিশেষ টার্গেট দর্শক বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতেন তারা এখন টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির ঝুঁকে ছুটে গিয়েছেন। তার স্পষ্ট মতামত দিয়ে বর্তমান আর্টিস্টরা শুধুমাত্র টেলিভিশনের জন্যই বেঁচে রয়েছেন। তার কেরিয়ারের মাইলস্টোন সিনেমা ‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’। তবে সেই সিনেমা নিয়ে অনেক নিম্নমানের আলোচনা করা হতো এমনকি টেলিভিশনেও ব্যান করে দেওয়া হয়।

 অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। তার কাছে এই অভিজ্ঞতা অনন্য। প্রতিদ্বন্দী সিনেমায় তিনি সত্যজিৎ রায়ের ডিরেক্টরিয়াল অবজারভারের কাজ করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য জগতের বিভিন্ন মহারথীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করার যে সৌভাগ্য তা তিনি আর কোনদিনও পাননি বলে জানান।

আরও পড়ুন -  Madan Mitra: দিদির জন্য গান করলেন মদন মিত্র, ‘ইন্ডিয়া ওয়ানা হার বেটিয়া’

বলা হয় যে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে একা ৩০ বছর টেনেছেন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। সেই প্রসঙ্গে চিরঞ্জিত বলেন,“ আমি বা অন্য কেউ কি তখন ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল না, আমরা কি কাজ করছিলাম না? এটা আসলে এক ভাবে প্রচারের আলোয় আসা। ও খুব সফল একজন ব্যক্তিত্ব এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই এমনকি ইন্ডাস্ট্রির নাড়ি-নক্ষত্র চেনে ও। ও প্রচণ্ড ইনফ্লুয়েন্সিয়াল। ওর বিরুদ্ধে ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো কথা বলা যায়না”

শত্রু ছবির সময় অঞ্জন চৌধুরী সঙ্গে তার মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল তাই তারপর থেকে আর যদি কোনোদিন অঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করেননি। তিনি এখন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার একজন বিধায়ক। তবে যদি তিনি বিধায়ক চিরঞ্জিত এবং অভিনেতা চিরঞ্জিত এর মধ্যে বেছে নেন তাহলে অভিনেতা চিরঞ্জিতকে বাছবেন।