ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা বোকা নয়। কিয়েভ ও চেরনিহিভে সেনা সমাবেশ কমিয়ে নিতে রাশিয়ার অঙ্গীকারের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুধবার বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তানবুলে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের উপস্থিতিতে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় মস্কো বলছে, তারা রাজধানী কিয়েভের চারপাশে এবং উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে তাদের সামরিক তৎপরতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দেবে।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, প্রাথমিক লক্ষণগুলো ছিল ইতিবাচক, তবে রুশ গোলার আঘাত থেমে যায়নি।
রাশিয়ার এ ঘোষণা নিয়ে অন্য কয়েকটি পশ্চিমা দেশও সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমি এ সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না, যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো বাস্তাবিক পদক্ষেপ দেখছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন বলেছেন, রাশিয়া যা বলে আর যা করে তার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতারাও বলেছেন, রাশিয়ার এ অঙ্গীকারকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিরোধ থামিয়ে দিলে হবে না।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ।
সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থান করছে রুশ বাহিনীর ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর। তারা যে কোনো সময় শহরটিতে হামলা চালাতে পারে।
রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ছবি: বিবিসি।