খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ চলতি বছরের জুন মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিজিএসটি বাবদ রাজস্বের পরিমাণ ১৮ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, এসজিএসটি বাবদ রাজস্বের পরিমাণ ২৩ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। আইজিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ৪০ হাজার ৩০২ কোটি টাকা (আমদানিকৃত পণ্য সামগ্রী থেকে সংগৃহীত ১৫ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা সহ) এবং সেস বাবদ রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা (আমদানিকৃত পণ্য সামগ্রী থেকে সংগৃহীত ৬০৭ কোটি টাকা সহ)।
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে নিয়মিত দাবি-দাওয়া মেটানোর উপায় হিসাবে আইজিএসটি থেকে সিজিএসটি বাবদ ১৩ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা এবং এসজিএসটি বাবদ ১১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা দাবি-দাওয়া মিটিয়েছে। এর ফলে, জুন মাসে দাবি-দাওয়া মেটানোর পর কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সিজিএসটি বাবদ ৩২ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা এবং এসজিএসটি বাবদ ৩৫ হাজার ২৭ কোটি টাকা।
আলোচ্য মাসে জিএসটি-র রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের ঐ একই মাসের তুলনায় ছিল ৯১ শতাংশ। কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ চলতি অর্থবর্ষে রাজস্ব সংগ্রহের ওপর প্রভাব পড়েছে। প্রথমত, মহামারীর ফলে আর্থিক মন্দা এবং দ্বিতীয়ত, রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ছাড় তথা প্রদেয় কর মেটাতে বাড়তি সময় বরাদ্দের দরুণ রাজস্ব সংগ্রহের ওপর প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছে। অবশ্য, গত তিন মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা, মে মাসে ৬২ হাজার ৯ কোটি টাকা এবং চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ৫৯ শতাংশে পৌঁছেছে। অবশ্য, মে মাসে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ানোর ফলে করদাতাদের একটা বিরাট অংশ তাঁদের বকেয়া জমা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত এপ্রিল মাসে জিএসটি সংগ্রহের রাজ্য-ভিত্তিক যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে – পশ্চিমবঙ্গে গত বছরের জুন মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ৩ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা থেকে এ বছরের জুন মাসে ১১ শতাংশ কমে হয়েছে ৩ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। সার্বিকভাবে, সারা দেশে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় এ বছর এপ্রিল মাসে সংগ্রহের পরিমাণ ৩ শতাংশ কমেছে। সূত্র – পিআইবি।