এরই মধ্যে ওমিক্রন নিজেকে বদল করে চলে এসেছে স্টেলথ ওমিক্রন রূপে। এটা হল ওমিক্রনের উপ-ধরন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিএ২ সাব-ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক।
এই বিএ২ সাব-ভ্যারিয়েন্ট শরীরে নানা রকম সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট সারা বিশ্বে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এমনকি এই মুহূর্তে সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড ১৯-এর টেকনিকাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোবে জানান, ওমিক্রনের এই উপপ্রজাতি আসল ভ্য়ারিয়েন্টের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক। আর এই উপপ্রজাতি এখন বেশি দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, হু এই উপপ্রজাতির প্রতি কড়া নজর রাখছে। গবেষণায় দেখা হচ্ছে, কিছু দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি ও দ্রুত কমে যাওয়ার পেছনে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের হাত আছে কি না।
এদিকে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীরা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। এক্ষেত্রে শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করার পরও তেমন সমস্যা দেখা দেয়নি। মানুষ বাড়িতেই হয়েছেন সুস্থ। দেখা দিয়েছে মৃদু উপসর্গ।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটবে। যদিও এক্ষেত্রে কয়েকটি অস্বাভাবিক লক্ষণও দেখা দিচ্ছে।
বিশেষ করে এই ওমিক্রনের এই উপ-ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এরই মধ্যে যারা এই বিএ২ সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন, তারাই এ দুটি লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।
যদি মাথা ঘোরা বা চোখে ঝাপসা দেখার পেছনে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও থাকতে পারে। তবে এ সময় সবাইকে থাকতে হবে সতর্ক। আর যদি এমন সমস্যা গুরুতর হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন, ওমিক্রনের তুলনায় এই উপ-ধরন প্রায় দেড় গুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও অবশ্য টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা এই রোগ কম ছড়াচ্ছেন। তবে টিকা না নিলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তাই টিকা নিতে হবে। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে অন্য করোনাবিধিও।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া