National Fair: ‘গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত’: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনদিনের সফরে গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীকে বারবার চিঠি দিয়েও জবাব পাইনি।’ এর পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে অনুরোধ করেন যে সকলে যেন করোনা বিধি মেনে মেলায় আসেন।

আগামী বছরের গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৪ জানুয়ারি রয়েছে পুন্যস্নান। শুধু বাংলাই মানুষ নয়, দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও বহু মানুষ ছুটে আসেন এই গঙ্গাসাগর মেলায়। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মেলার প্রস্তুতি নিয়ে নিবান্নে বৈঠক করেছেন।মেলার প্রস্তুতি কেমন চলছে? কোথাও কোনো বিষয়ে খামতি রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে খোঁজ নেন।

আরও পড়ুন -  কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী "আনন্দম: আইআইএম জম্মুতে সুখের কেন্দ্র" -এর উদ্বোধন করেছেন

 মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কপিলমুনি আশ্রমের মোহন্তও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও এরকম মেলা হয় না। এই মেলার সঙ্গে সড়কপথের কোনও যোগাযোগ নেই। এখানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যমে জলপথ। গঙ্গাসাগর বিশ্বের সেরা মেলাগুলির অন্যতম’। তাঁর কথায়, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু গঙ্গাসাগর দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে’। কপিলমুনি আশ্রমের মোহন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘প্রধানমন্ত্রীর পদে’ দেখারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি।

এদিন বিকেলে আশ্রম থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌এই মেলা কুম্ভ মেলার চেয়ে কোনও অংশে কম পবিত্র নয়। কথায় বলে–সব তীর্থ বারবার/ গঙ্গাসাগর একবার। আমরা বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছি, এই মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। আসলে কুম্ভ মেলা হচ্ছে সুয়োরানি। আর গঙ্গাসাগর মেলাকে মনে করা হয় দুয়োরানি। তাই কেন্দ্রের এই অনীহা। গঙ্গাসাগর মেলাকে দ্রুতই জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করি।’‌ পাশাপাশি এই মেলায় যাতায়াত করার জন্য একটি ব্রিজের প্রয়োজন। কিন্তু এখনও তা নির্মাণ না হওয়ায় মানুষের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।এই বিষয়ে এদিন কেন্দ্রকে দোষারোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌এই ব্রিজ করে দেওয়ার জন্যও বারবার কেন্দ্রকে বলা হয়েছে। কিন্তু তাতেও আমরা সাড়া পাইনি। আমাদের কাজ আমরাই করব। আমাদের টাকাপয়সা হলে ব্রিজটা বানিয়ে দেব।’‌ কপিলমুনির আশ্রম থেকে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান ভারত সেবাশ্রম সংঘে। পুজো দেন সেখানে এবং সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথাবার্তা বলেন।

আরও পড়ুন -  আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে দামোদর স্টেশনে রেল রোকো আন্দোলন

এদিন কেন্দ্রের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে কুম্ভমেলার তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সরকার কুম্ভমেলায় সব টাকা দেয়। আর এখানে কোন টাকাই দেয় না। কুম্ভমেলা সুয়োরানি হলে, দুয়োরানি কি তাহলে গঙ্গাসাগর? একটু সময় পেলে, আমরা আমাদের কাজ ঠিক করে নিতে পারব’।

আরও পড়ুন -  Pakistan: বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইমরান খানের সমর্থকরা আন্দোলন করছেন