আর ১৮ বছর নয় বরং মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য ২১বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বাবা-মাকে। অবশেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফ থেকে পাস করা হয়েছে এই আইন। আগেই সরকারের তরফ থেকে মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়সের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছিল,তবে অবশেষে সেই ভাবনাই বাস্তবায়িত হল আইনের দ্বারা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও নীতি আয়োগের তরফ থেকে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের দিন এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। মোদীও এই বিষয়ে বলেছিলেন, ‘মেয়েদের অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে, সঠিক বয়সে তাদের বিয়ে হওয়া জরুরি।’
২০২০ সালের ডিসেম্বরেই নীতি আয়োগের টাস্ক ফোর্সে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের প্রথম সন্তান হওয়ার বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হওয়া উচিত। আর তাই নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে বিয়ের ন্যূনতম বয়সসীমা বাড়ানো প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল রিপোর্টে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ছাড়াও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রক সহ একাধিক মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও এই টাস্ক ফোর্সের সদস্য।
তবে এই প্রস্তাবকে আইনে পরিণত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার বাকি রয়েছে। খবর সূত্রে জানা গিয়েছে যে,সরকার বাল্য বিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, ২০০৬-এ একটি সংশোধনী আনবে এবং ফলস্বরূপ বিশেষ বিবাহ আইন এবং হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫-এর মতো আইনেও সংশোধন আনা হবে৷