খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং ভূ-বিজ্ঞান দপ্তরের মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন আজ জানিয়েছেন দেশজুড়ে সার্স-কোভ-২-এর ১,০০০টি জিন বিন্যাসের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জৈবপ্রযুক্তি দপ্তরের একটি পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন । এই বৈঠকে কোভিড-১৯-এর বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ডঃ বর্ধন, দেশের সবথেকে বড় কোভিড-১৯-এর জন্য জৈব সংগ্রহশালার কাজের সূচনা করেছেন। জৈবপ্রযুক্তি দপ্তর রেকর্ড সময়ে পাঁচটি কেন্দ্রে এ সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই পাঁচটি কেন্দ্র হল – ফরিদাবাদের ট্রান্সলেশনাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি ইনস্টিটিউট, ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অফ লাইফ সায়েন্স, নতুন দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বাইলিয়ারি সায়েন্সেস, পুণের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেল সায়েন্স এবং ব্যাঙ্গালোরের ইনস্টিটিউট অফ সেল সায়েন্স অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন। ডঃ বর্ধন এই প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের নিরলস প্রয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে কোভিড-১৯-এর ভ্যাক্সিন নিয়ে ১৬টি সংস্থা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছে। এর মধ্যে বিসিজি টিকা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। এছাড়াও জাইরাস ক্যাডিলার ডিএনএ ভ্যাক্সিন প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। জৈবপ্রযুক্তি দপ্তর দেশ জুড়ে সার্স-কোভ-২-এর জিন বিন্যাসের কাজটি মে মাসে শুরু করেছিল। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিকেল জেনোমিক্সকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ কাজে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাহায্য করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজ, ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। জৈবপ্রযুক্তি দপ্তর কোভিড-১৯-এর জৈব পদার্থের সংগ্রহশালা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্র থেকে ৪৪,৪৫২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই দপ্তর আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে চলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ আরটি-পিসিআর ডায়াগনস্টিক কিট প্রতিদিন তৈরি করা হচ্ছে। কৃত্রিম মেধার সাহায্যে রোগ নির্ণয় সংক্রান্ত চারটি প্রযুক্তি বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থাকে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। এই সংস্থাগুলি এখন এই কিট তৈরির কাজ করবে। সূত্র – পিআইবি।