খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কৃষি ক্ষেত্রে কেন্দ্র সব সময়ই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কৃষকদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আয় বাড়ানো ও যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্টার্ট আপ বা নতুন উদ্যোগকে উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ, গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতীরাজ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি ও অনুসারী ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এরজন্যই নতুন উদ্যোগ ও কৃষি ভিত্তিক শিল্পোদ্যোগে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় উদ্ভাবন এবং কৃষি ভিত্তিক শিল্পোদ্যোগকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করার কাজ চলেছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম পর্বে ১১২টি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির জন্য ১১২টি স্টার্ট আপ সংস্থাকে ১১ কোটি ৮৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সাহায্য করা হবে। এরফলে কৃষকদের আয় বাড়বে। এই অর্থ কিস্তিতে দেওয়া হবে।
শ্রী তোমর জানিয়েছেন, কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা ও শিক্ষার বিষয়ে পর্যালোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, নতুন উদ্যোগ ও কৃষি ভিত্তিক শিল্পোদ্যোগকে উৎসাহিত করে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে ভারতীয়দের চিরায়ত কৃষি বিদ্যার সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটানোর উপর গুরুত্ব দেন। ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থায় যুবক-যুবতীদের দক্ষতা এবং কৃষি বিজ্ঞানের স্নাতকদের সাহায্যে গ্রামাঞ্চলে সংস্কার ত্বরান্বিত হবে। কৃষি ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য এবং কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির আধুনিকীকরণের কাজে প্রধানমন্ত্রী বছরে ২ বার হ্যাকাথন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন।
শ্রী তোমর কৃষি ক্ষেত্রকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন। বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি যুব সম্প্রদায়কে কৃষি ক্ষেত্রে আকর্ষিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। কৃষি ও অনুসারী ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার মধ্যে দিয়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটানো হবে। যারফলে গ্রামাঞ্চলে অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে।
মন্ত্রক ৫টি নলেজ পার্টনারকে সেন্টার অফ এক্সলেন্স এবং ২৪টি রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা- রফতার কৃষি বাণিজ্য ইনকিউবেটারকে চিহ্নিত করেছে যারা কৃষি ভিত্তিক শিল্পোদ্যোগে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
১১২টি নতুন উদ্যোগ সংস্থাকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষি সংক্রান্ত প্রযুক্তির জন্য প্রথম পর্বে ১১ কোটি ৮৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হবে। এই সংস্থার প্রতিনিধিদের ২৯টি কেন্দ্রে ২ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে ও কৃষকদের আয় বাড়বে। সূত্র – পিআইবি।