ফেসবুক গ্রুপ অর্থ আয়ের নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে অর্থ আয়ের সম্ভাব্য উপায়গুলো পরীক্ষা করছে। এটি হতে পারে বিশেষ কনটেন্টের জন্য গ্রুপের সদস্যদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে ফি গ্রহণ কিংবা গ্রুপের ভেতরে আলাদা গ্রুপ (সাব গ্রুপ) খুলে সদস্যদের আলোচনার সুযোগ করে দেওয়া।
অর্থ আয়ের নতুন উপায়গুলো নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানায়, ফেসবুক গ্রুপে অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষামূলকভাবে বিশেষ সুবিধাগুলো চালু হতে পারে। ফেসবুকসহ অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কনটেন্ট নির্মাতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমিউনিটি তৈরিতে বিশেষ জোর দিয়েছে ফেসবুক। এতে প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যবহারকারীদের ‘এনগেজমেন্ট’ বেশি থাকে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, অ্যাডমিনরা গ্রুপে ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির সুবিধা পাবেন। আবার সদস্যদের কাছে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে তহবিল গঠনের ব্যবস্থাও থাকবে। এতে গ্রুপ পরিচালনার ব্যয় নির্বাহ হতে পারে।
নিয়ন্ত্রণ কম থাকায় গ্রুপগুলোর মাধ্যমে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি মিথ্যা তথ্য ছড়ায় বলে গবেষক ও আইনপ্রণেতারা বলেন। এ নিয়ে বেশ চাপের মুখে ছিল ফেসবুক। ফেসবুক বলেছে, গ্রুপে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনার সুযোগ পাবেন অ্যাডমিনরা।
আর সদস্যরা ভালো পোস্টের জন্য ‘কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড’ দিতে পারবেন। আবার পেজ ও গ্রুপের সেরা সুবিধাগুলো এক করার ব্যাপারেও ইঙ্গিত এসেছে। তখন পেজ অ্যাডমিনরাও গ্রুপের মতো সুবিধা পাবেন। তবে সেটি এখনো পরীক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে আছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।