খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে দ্বিতীয় এমপ্যাথি ই-কনক্লেভের আয়োজন করেছে ইন্সটিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বাইলিয়ারি সায়েন্সেস (আইএলবিএস)। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রী ওম বিড়লা। আইন ও বিচার মন্ত্রী শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন অনুষ্ঠানে সাম্মানিক অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সাংসদদের মধ্যে হেপাটাইটিসের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আইএলবিএস – এর নির্দেশক ডঃ এস কে সারি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যকর যকৃৎ এবং হেপাটাইটিসের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য বেশ কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এই অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা ছিল – “এমপাওয়ারিং পিপল ইন হেপাটাইটিস : দ্য এমপ্যাথি ক্যাম্পেন”।
এই সম্মেলনের উদ্বোধন করে লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রী ওম বিড়লা বলেছেন, মহামারীর এই সময়ে অনুষ্ঠানটি বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় আয়োজন করতে হয়েছে। পৃথিবী থেকে হেপাটাইটিস-সি নির্মূল করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস-বি সংক্রমিতদের সংখ্যা কমানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে সাহায্য করতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। এই অসুখের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে এটিকে জনআন্দোলনে রূপ দেওয়ার প্রয়োজন।
ডঃ হর্ষ বর্ধন অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, কোভিড মহামারীর সময়ে আমাদের সকলের যকৃৎ সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সক্রিয় উদ্যোগে দেশে আমরা কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কোভিড সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হার ২-৩ শতাংশের মধ্যে এবং বেশিরভাগ সংক্রমিত ব্যক্তিই উপসর্গহীন। যাঁরা অন্যান্য জটিল অসুখে ভুগছেন, যেমন – ডায়াবেটিস, স্থুলতা অথবা যকৃতের নানা অসুখ – তাঁদের এই সময়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আয়ুষ্মান ভারত – হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলি নিরলসভাবে এই মহামারী মোকাবিলায় চিকিৎসা করে চলেছে।
হেপাটাইটিস প্রসঙ্গে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেছেন, হেপাটাইটিস বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। অথচ আমাদের দেশে জনসাধারণ এবং অনেক চিকিৎসক-ই ভাইরাল হেপাটাইটিসের বিষয়ে অবগত নন। হেপাটাইটিস-বি এবং সি যকৃৎ ক্যান্সার এবং যকৃতের নানা জটিল অসুখের মূল কারণ। কিন্তু, দীর্ঘস্থায়ী ভাইরাল হেপাটাইটিস সংক্রমিতরা জানতেই পারেন না যে, তাঁদের অসুখের মূল কারণ কি! এই কারণে ‘টক, টেস্ট অ্যান্ড ট্রিট’ – এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন অসরকারি সংগঠনগুলিকে আইএলবিএস – এর কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।