খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ উত্তর পূর্বাঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে গতি আনবে এবং ওই অঞ্চলে জৈব খাদ্য উৎপাদনে লাভ মিলবে : রামেশ্বর তেলী
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামেশ্বর তেলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ফর্মালাইজেশন মাইক্রো ফুড প্রসেসিং এন্টারপ্রাইজেস (পিএমএফএমই) প্রকল্প উত্তর পূর্বাঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে গতি আনবে এবং এই প্রকল্প থেকে ওই অঞ্চলে জৈব খাদ্য উৎপাদনে লাভ মিলবে। ‘স্বপ্ন কি উড়ান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের সূচনায় শ্রী তেলী একথা জানান। তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় চালু হওয়া এই ‘পিএম এফএমই’ প্রকল্প থেকে কৃষক এবং ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। এর সুফল মিলবে ভারতীয় অর্থনীতিতে। তিনি আরও বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৫৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কোভিড-১৯ সংকটের সময় যারা নিজের গ্রামে বা বাড়িতে ফিরে এসেছেন তাদের জন্য এই প্রকল্প আয়ের ক্ষেত্রে আলোর পথ দেখিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্যই হল অসংগঠিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলিকে মূল স্রোতে সংযুক্ত করা।
শ্রী তেলী এই প্রকল্পের আওতায় ফলমূল, সাক-সব্জিগুলি গুদামজাত করা, হিমঘরে রাখা এবং বিপণন ও ব্রান্ডিং-এর ক্ষেত্রে সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানান। এই প্রকল্প থেকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের সাধারণ মানুষ বিশেষত মহিলা, তপশীলি জাতি ও উপজাতি মানুষরা লাভবান হবেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলে আনারস, কলা, হলুদ, আদা, কমলালেবু, কলো জাতের চাল, বাঁশ এবং অন্যান্য পণ্য সামগ্রী প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এইসব উৎপাদিত পণ্যগুলির প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর জোর দেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় চালু হওয়া নতুন এই প্রকল্প ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা মিলবে। এর পাশাপাশি কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন। ফল ও সব্জি পরিবহনের জন্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকিও প্রদান করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়।এমনকি এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিজাত পণ্যের অপচয় হ্রাস পাবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং কৃষকদের আয়ও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সূত্র – পিআইবি।