Thousand Hands Of Kal: হাজার হাত কালী, ইতিহাস জানুন

Published By: Khabar India Online | Published On:

হাওড়ার শিবপুর ওলাবিবিতলায় রয়েছে এক কালী মন্দির যেখানে হাজার হাত কালী মাতা। ১৮৭০ সালে কলকাতার চোর বাগানের ঈশ্বর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অনেকের কাছে তিনি তান্ত্রিক আশুতোষ তর্করত্ন নামেও পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন তীর্থস্থানে তিনি ঘুরে বেড়াতেন। সাধারণত পূজা-পাঠ, তন্ত্রসাধনা এসমস্ত নিয়েই থাকতেন। তিনি স্বপ্নে মা কালীর হাজার হাতের রূপ দর্শন পান। তারপরেই স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী মায়ের সেই রূপে হাজার হাত কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠিত করেন।

আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই কালীমন্দির তৈরি করার জন্য হালদার পরিবারের কাছ থেকে ১২৫ টাকায় তিন কাঠা জায়গা কেনেন এবং মাটির মন্দির গড়ে তোলেন। ১৯৭০ সালে গড়ে ওঠে এই হাজার হাত কালী মায়ের মন্দির।  হাজার হাত কালী মাতার বিগ্রহ বানিয়ে দেন কুমারটুলির প্রিয়নাথ পাল। চন্ডী পুরাণ অনুসারে, দেবী দুর্গা যখন অসুর বধ করেছিলেন তখন দেবী একাধিক রূপ ধারণ করেছিলেন। চন্ডী পুরাণের সেই কাহিনী অনুসারে গড়ে তোলা হয় হাজার হাতের কালী মূর্তি।

আরও পড়ুন -  Housing Distributed: 155 জন ধস কবলিতদের আবাসন বিতরণ করা হল, কন্যাপুরে ADDA অফিসে

নিত্যদিনই এই মন্দিরে তিনবেলা পুজো হয়। রাত্রিবেলা মায়ের আরতি করার পর প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এই মন্দির ঈশ্বর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পরিবার-পরিজন দ্বারাই পরিচালিত অর্থাৎ এই মন্দির সম্পূর্ণ ভাবে তাদের ব্যক্তিগত মন্দির। কোনো পুরোহিত এখানকার পুজো করেন না। পরিবারের সদস্যরাই সেবায়েত হিসেবে মন্দিরের দেখাশোনা সহ নিত্য পুজোর কাজে তথা মায়ের সেবায় নিযুক্ত রয়েছেন। বৈশাখ মাসের বুদ্ধ পূর্ণিমা, জৈষ্ঠ্য মাসের ফলহারিনী কালী পূজা, কার্তিক মাসের কালীপূজা, মাঘ মাসের রটন্তী কালীপূজা বিশেষ ভাবে পালিত হয়। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তের সমাগম ঘটে এই জাগ্রত কালী মন্দিরে পূজা দেওয়ার উদ্দেশ্যে।

আরও পড়ুন -  Covid-19: কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য

 বিশেষ দিন গুলোতে প্রায় ৩০০০ ভক্তের জন্য ভোগের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই মন্দিরে মা কালীকে নিয়মিত মাছ ও ভাত ভোগ দেওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এর পাশাপাশি নানা রকমের ফল ও মিষ্টিও নিবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন -  নববর্ষের আগের দিন

প্রচলিত রয়েছে, প্রায় সাত বছর আগে শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের তিথিতে এক শুক্রবার দক্ষিণ ভারতের এক বাসিন্দা কৃষ্ণা সুব্রহ্মণ্যম এই মন্দিরে এসেছিলেন। সেই সময় তিনি ছিলেন দৃষ্টিহীন। মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যাতে তার দৃষ্টি ফিরে আসে। মা ভক্তের ডাকে সাড়া দেন এবং এক বছরের মধ্যে সেই ব্যক্তি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান। মায়ের অশেষ করুণা দেখে সেই ব্যক্তি সাড়া দক্ষিণ ভারত জুড়ে এই হাজার হাত কালী মায়ের মাহাত্ম্য প্রচার করতে শুরু করেন। সেখানে বিশেষ দিনে পূজ্য হয়।