প্রয়াত হলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় (Nripen Ganguly)।
বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন নৃপেনবাবু। ধরা পড়েছিল ক্যান্সার। দিন কয়েক আগে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেও শেষরক্ষা হল না। শনিবার রাত ন’টা নাগাদ চুরানব্বই বছর বয়সে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তী পরিচালক। রবিবার ভোরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সহকর্মীদের কাছে ‘ন্যাপাদা’ নামে পরিচিত নৃপেনবাবুর মৃত্যুতে টলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
1927 সালের 15 ই অগস্ট অবিভক্ত ভারতবর্ষের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন নৃপেনবাবু। পরবর্তীকালে পার্টিশনের পর ফরিদপুর পূর্ব পাকিস্তানের অধীনে আসে যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ নামে এক স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে যায়। ফরিদপুরেই ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য নিয়ে স্নাতক হন তিনি। দীর্ঘদিন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নৃপেনবাবু। 1956 সালে হীরেন বসু (Hiren Basu) পরিচালিত ফিল্ম ‘একতারা’-তে সহকারী পরিচালক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন নৃপেনবাবু। ‘রাজধানী থেকে পালিয়ে’, ‘অভিযান’ সহ বেশ কয়েকটি ফিল্মের পাশাপাশি তিনি ‘মেজদিদি’, ‘অন্তর্জলি’-র মতো টেলিফিল্ম পরিচালনা করেছিলেন।
View this post on Instagram
1984 সালে ‘ভোম্বল সর্দার’ ফিল্মের জন্য ছোটদের ছবির বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন নৃপেনবাবু। এরপরেই ফিল্মটি দ্বিতীয় বাংলা ফিল্ম হিসাবে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল। নৃপেনবাবুই ছিলেন বার্লিনজয়ী দ্বিতীয় বাঙালি। এছাড়াও বহু তথ্যচিত্র বানিয়েছেন তিনি। পরিচালক মৃণাল সেন (Mrinal Sen)-এর উপর তাঁর বানানো একটি তথ্যচিত্র ফিল্ম মহলে সমাদৃত হয়েছিল। বিখ্যাত কিছু উপন্যাস নিয়ে ফিল্ম বানিয়েছিলেন নৃপেনবাবু। নিখুঁত ভাবে তুলে ধরেছিলেন সেই সময়ের গল্প। কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকও পরিচালনা করেছিলেন তিনি।