লক্ষ্মী হলেন ধন-সম্পদ এবং সৌভাগ্যের দেবী। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সংসারের সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, প্রতিপত্তি লাভ হয়। কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন ভক্তিভরে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন।
মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সমস্ত মনষ্কামনা পূর্ণ হয় এবং গৃহে শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু এই পূজার কিছু বিশেষ বিধি-নিষেধ আছে সেই রীতি পালন করা একান্ত জরুরী। তা না হলে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হতে পারেন। মা লক্ষ্মীর কৃপা সবসময় বজায় রাখার জন্য ভক্তিভরে মা লক্ষ্মীর পূজার্চনা করতে হয়।
মা লক্ষ্মী যাতে সন্তুষ্ট থাকেন এবং কোনভাবেই যাতে আমাদের ভুল পদক্ষেপের জন্য তিনি ক্রুদ্ধ না হন তার জন্য যে সমস্ত বিষয়গুলি মাথায় রাখা দরকার।
দেবী লক্ষ্মী খুব শান্ত প্রকৃতির দেবী, কোনো রকম আওয়াজ তিনি পছন্দ করেন না। সেই কারণে লক্ষ্মী পূজার দিনে কোনভাবেই ঢাক-ঢোল কিংবা কাঁসরঘন্টা বাজানো চলবে না।
দেবী লক্ষ্মী হলেন দেবতা বিষ্ণুর স্ত্রী। সেই কারণে দেবী লক্ষ্মীর পূজায় তুলসী পাতা ব্যবহার করতে নেই।
যে আসনে দেবী লক্ষ্মীর প্রতিমা স্থাপন করবেন সেই আসনের বস্ত্র কোনভাবেই কালো বা সাদা রঙের ব্যবহার করবেন না।
দেবী লক্ষ্মীর প্রসাদ কখনো না বলতে নেই। অল্প হলেও ভক্তিভরে তা গ্রহণ করবেন।
দেবী লক্ষ্মী পূজায় সাদা রঙের ফুল দেওয়া যায় না। সাদা ব্যতীত যে কোনো রং যথা- লাল, গোলাপি, হলুদ প্রকৃতি ব্যবহার করবেন।
দেবী লক্ষ্মী প্রতিমার ডানদিকে ধূপ,দীপ জ্বালাতে হবে।
পুজোর সময় ভক্তদের লাল অথবা হলুদ রঙের বস্ত্র পরিধান করা উচিৎ।
লক্ষ্মী পুজোর জন্য যে চাল ঘরে তোলা হয় সেই চাল অন্য কাউকে দান করবেন না।
লক্ষ্মী পূজার সময় লোহার কোনো বাসন ব্যবহার করা চলবে না কারণ লোহার বাসন অ – লক্ষ্মী পূজায় ব্যবহার করা হয়।